গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় মিনিট ছয়েক মাত্র বাজেট। বাকি গোটাটাই সরকারের সাফল্য তুলে ধরা। এই সাফল্যকে টেনে নিয়ে গিয়েই নির্মলা সীতারামন স্বপ্ন-উড়ানকে তুলে নিয়ে গেলেন ২০৪৭ সাল পর্যন্ত। যে বছরটা স্বাধীনতার শতবর্ষ হবে। সার্বিক উন্নয়নের মধ্যে মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বিশেষ জোর দিলেন পরিকাঠামোয়। বিমান, সড়ক ও রেল— পরিবহণের তিন ক্ষেত্রকেই ঢেলে সাজানোর ঘোষণা করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী বাজেটে নির্মলা জানিয়েছেন, ২০৪৭-এর দিকে তাকিয়েই পরিকাঠামো উন্নয়নের যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাজেট সংক্রান্ত ঘোষণায় রেল প্রসঙ্গে নির্মলা জানিয়েছেন, ৪০ হাজার সাধারণ ট্রেনের কামরাকে হাই স্পিড বন্দে ভারত কামরায় রূপান্তরিত কর হবে। এ ছাড়াও তিনটি বড় রেল করিডর নির্মাণ করার ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বিমান পরিবহণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘উড়ান’ প্রকল্প এই পরিসরে সাফল্য অর্জন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে আগামী দিনে বিমান চলাচলের ৫১৭টি নতুন রুট চালু করা হবে। যার ফলে বাড়বে বিমানবন্দরের সংখ্যাও।
বস্তুত কোভিডের সময় থেকেই বিমান পরিবহণে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যেও বহু রাজ্যে নতুন নতুন বিমানবন্দর চালু হয়েছে। রাজধানী দিল্লির সঙ্গে সরাসরি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিমান সংযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটাকেই ২০২৯ সালের মধ্যে আরও ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছেন নির্মলা। জাতীয় সড়ক নির্মাণে গত কয়েক বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। বলা হয়, বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সড়ক পরিবহণ পরিকাঠামোয় জোর দেওয়ার পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ি।
বাজেটে পর্যটনের ক্ষেত্রেও পৃথক গুরুত্ব আরোপের কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আধ্যাত্মিক পর্যটন। যার নিউক্লিয়াস হয়ে উঠবে অযোধ্যার রামমন্দির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পর্যটনের উন্নতির সঙ্গে পরিবহণ পরিকাঠামোর উন্নয়ন সম্পৃক্ত। সড়ক পরিবহণে যানবাহনের ক্ষেত্রে সিএনজির কথা একাধিক বার উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy