সমীক্ষা বলছে, একটি ইতিবাচক দিক হল, তিন মাস কাজ কমার পরে মার্চে সে ভাবে কমেনি। তবে বাড়েওনি। হাতে থাকা মানবসম্পদকেই কাজে লাগাতে চাইছে সংস্থাগুলি।
প্রতীকী ছবি।
কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আশঙ্কা চড়ছিলই। সোমবার এক সমীক্ষায় ইঙ্গিত পাওয়া গেল, দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রে ওই দুইয়ের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মার্চে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পার্চেজ়িং ম্যানেজার্স ইন্ডেক্স (পিএমআই) দাঁড়িয়েছে ৫৪.০। যা ফেব্রুয়ারির (৫৪.৯) থেকে কম তো বটেই, গত ছ’মাসেও সর্বনিম্ন। অর্থাৎ, দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির ইঙ্গিত রয়েছে বটে, তবে তার গতি অনেকটাই কমেছে। মাথা নামিয়েছে ব্যবসার আস্থাও। উল্লেখ্য, পিএমআই সূচক ৫০-এর উপরে থাকার অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বৃদ্ধি। তার নীচে থাকা মানে সঙ্কোচন। সেই নিরিখে টানা ন’মাস বৃদ্ধির বৃত্তে রয়েছে উৎপাদন ক্ষেত্র।
গত অর্থবর্ষে রেকর্ড পণ্য রফতানি করেছে ভারত। সেই চাহিদার উপরে ভর করে উৎপাদনের বরাতও ছিল বিপুল। সেই সঙ্গে দেশে বাড়তে থাকা চাহিদা তো আছেই। কিন্তু সেই বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জ্বালানি এবং কাঁচামালের দাম। বাড়তে থাকা সেই খরচের একাংশ সংস্থাগুলি ক্রেতাদের উপরে চাপানোয় পণ্যের দামও বেড়েছে। অর্থবর্ষের শেষ মাসে তার কিছুটা বিরূপ প্রভাব এই শিল্পে পড়েছে বলে জানিয়েছে সমীক্ষা। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের কর্তা পল্লিয়ানা দ্য লিমা জানাচ্ছেন, কাঁচামালের মধ্যে সব চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জ্বালানি, রাসায়নিক, কাপড় ও ধাতুর। ফলে বরাত ও উৎপাদন বৃদ্ধির হার কমেছে। তাঁর বক্তব্য, দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও চাহিদা এখনও পর্যন্ত তেমন খারাপ জায়গায় রয়েছে তা বলা যাবে না। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি আরও মাথা তুললে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। দাম বৃদ্ধির চাপ রয়েছে সংস্থাগুলির উপরেও।
সমীক্ষা বলছে, একটি ইতিবাচক দিক হল, তিন মাস কাজ কমার পরে মার্চে সে ভাবে কমেনি। তবে বাড়েওনি। হাতে থাকা মানবসম্পদকেই কাজে লাগাতে চাইছে সংস্থাগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy