আশাবাদী: সিআইআইয়ের সভায় দেবাশিস সেন। বুধবার।
আগামী দিনে আর্থিক পরিষেবার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে মুম্বই ও দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়বে কলকাতা। অন্তত ম্যাকিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের সমীক্ষা তেমনই বলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব দেবাশিস সেন।
বুধবার সিআইআই আয়োজিত সাধারণ বিমা নিয়ে এক আলোচনা সভায় এসে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘ম্যাকিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট তাদের সমীক্ষায় জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের যে তিনটি শহর আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকবে, সেগুলি হল মুম্বই, দিল্লি এবং কলকাতা।’’ তার অন্যতম কারণ, তুলনায় কম খরচে দক্ষ কর্মীর জোগান হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বিশ্ব জোড়া মন্দার পর থেকে ক্রমশ এশিয়াই আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই হংকং এবং সিঙ্গাপুর এ ব্যপারে প্রথম সারিতে। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘ওই দুই দেশের খুবই কাছে কলকাতা। তাই আর্থিক লেনদেনের অন্যতম প্রধান শহর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার এই ভৌগলিক অবস্থানও বিশেষ সহায়ক হবে।’’
এ দিকে বিমার প্রিমিয়ামের উপর জিএসটির হার ১৫% থেকে বাড়িয়ে ১৮% করার জন্য এই শিল্পের সম্প্রসারণ ব্যাহত হতে পারে বলে কেন্দ্রের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইনিশিওরেন্স কাউন্সিল। ফিউচার জেনারেলি ইন্ডিয়ার এমডি ও সিইও কে জি কৃষ্ণমূর্তি জানান, ‘‘জিএসটি কমানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছি।’’ আগামী বাজেটে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়ার আর্জিও তাঁরা সরকারকে জানিয়েছেন বলে জানান কৃষ্ণমূর্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy