Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ছোট শিল্পের বকেয়ায় সমস্যা সেই সচেতনতা

ছোট সংস্থাগুলির অভিযোগ, পণ্য বা পরিষেবা কেনার ৪৫ দিনের মধ্যে দাম মেটানোর কথা থাকলেও, অনেক ক্রেতাই দীর্ঘ দিন তা দেন না

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৫০
Share: Save:

একে মূলধন কম। তার উপরে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করেও দাম বকেয়া থাকলে, ব্যবসা চালানোই কঠিন হয় ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থাগুলির পক্ষে। সেই কারণে বকেয়া পাওয়ার পথে আইনি জটিলতা কমাতে ২০০৬ সালের এমএসএমই আইনে বিরোধ মেটানোর জন্য বিশেষ কেন্দ্র চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে। তাতে কিছুটা সাফল্য মিললেও, এই পরিকাঠামোর সুবিধা নিয়ে শিল্প মহলেই সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মানছেন সরকারি ও শিল্পকর্তারা।

ছোট সংস্থাগুলির অভিযোগ, পণ্য বা পরিষেবা কেনার ৪৫ দিনের মধ্যে দাম মেটানোর কথা থাকলেও, অনেক ক্রেতাই দীর্ঘ দিন তা দেন না। অথচ ঋণ মেটানোর জন্য তার উপরে নির্ভর করতে হয় ছোট সংস্থাকে। ফলে তখন তা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সব সংস্থার পক্ষে আইনের সাহায্য নেওয়া সম্ভব হয় না।

এই সমস্যা মেটাতে ওই বিশেষ কেন্দ্রে ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প অধিকর্তা এবং শিল্প মহলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া কমিটি প্রথমে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করে। না-হলে সালিশি বৈঠকে সুদ-সহ বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার বেঙ্গল চেম্বার ও বম্বে চেম্বারের সভায় ওই শিল্পের অধিকর্তা অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, ২০০৭ সালে যেখানে একটি বিরোধে ৫৬,০০০ টাকা মেটানো হয়েছিল, সেখানে ২০১৮ সালে ১০২টিতে ৪৪ কোটি বকেয়ার নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

তবে শ্রীবাস্তব ও কমিটির সদস্য তথা শিল্প সংগঠন ফ্যাকসির প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহ মানছেন, বহু ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থার মধ্যে সচেতনতার অভাব ও সরকারি ভাবে নথিভুক্ত না-হওয়াই যার মূল কারণ। অনুরাগ জানান, কেন্দ্রে আর্জি জানাতে ‘উদ্যোগ আধারে’ নাম লেখাতে হয়। কিন্তু অনেক সংস্থাই নথিভুক্ত নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Economy Small Industry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE