পুরনো বাজার এখনও পুরোপুরি দখলে আসেনি। কিন্তু নুডলসের বাজারে ফের প্রথম সারিতে উঠে এসেছে ম্যাগি, এমনটাই দাবি প্রস্তুতকারক সংস্থা নেসলে ইন্ডিয়ার।
অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা থাকার অভিযোগে গত বছর পাঁচ মাসের জন্য ম্যাগির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। আদালতের নির্দেশে তিনটি পরীক্ষাগারের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে গত ৯ নভেম্বর তা ফের বাজারে আসে। তার ঠিক এক বছরের মাথায় আজ নেসলে ইন্ডিয়ার সিএমডি সুরেশ নারায়ণনের দাবি, এই এক বছরে নুডলসের বাজারের ৬০% ফের ম্যাগির দখলে এসেছে। হৃতসাম্রাজ্য অবশ্য এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি। কারণ নিষেধাজ্ঞার পরে বাজার থেকে পণ্য তুলে নেওয়ার আগে এ দেশের প্রায় ২৩০০ কোটি টাকার নুডলসের বাজারের ৭৫% ম্যাগির দখলে ছিল। নারায়নের কথায়, ‘‘গত বছর জুনে ম্যাগির মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু এখন তা ফের প্রথম স্থানে। আগের জায়গায় অবশ্য এখনও আমরা পৌঁছতে পারিনি।’’
কেন্দ্রীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) গত বছরের জুনে ম্যাগির বিক্রি ও উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার জেরে ভারতের বাজার থেকে ম্যাগি তুলে নেওয়া হয়। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে ও দেশের তিনটি গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষায় পাশ করে ফের বাজারে আসে ম্যাগি।
নেসলে ইন্ডিয়ার শীর্ষকর্তার বক্তব্য, ম্যাগি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার ফলে সামগ্রিক ভাবেই নুডলসের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শরীরে চটজলজি তৈরি নুডলসের প্রভাব নিয়েই মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়। অনেকে এই ধরনের চটজলদি নুডলস খাওয়াই বন্ধ করে দেন। ফলে ম্যাগি বন্ধ হয়ে গেলেও প্রতিযোগী সংস্থাগুলিও তেমন ভাবে ফায়দা তুলতে পারেনি। নারায়ণনের মতে, এ দেশে নুডলসের বাজার এখন ২৩০০ কোটি টাকার হলেও তা আরও বেশি হওয়া উচিত। পুরনো আস্থা ফিরে পেতে এবং ম্যাগিতে যে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কিছু নেই, তা বোঝানোর প্রচারে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। সেই অঙ্ক জানাতে রাজি না-হলেও নারায়ণন বলেন, তা ব্র্যান্ড-মূল্যের ১০%।
নারায়ণনের দাবি, নেসলে এখন সব রকম খাদ্যপণ্যেই পুষ্টির উপর বেশি জোর দিচ্ছে। গত তিন মাসে নতুন স্বাদের ম্যাগি ছাড়াও কফি, চকোলেট, দুধের মতো নানা রকমের ২৫ থেকে ৩০টি নতুন পণ্য বাজারে আনা হয়েছে। নারায়ণনের দাবি, ‘‘ভারতে নেসলে ১০৪ বছর ব্যবসা করেছে। কিন্তু কখনও এত কম সময়ে এত নতুন পণ্য আনেনি।’’
এ দেশ নেসলে-র ৮টি কারখানা থাকলেও পূর্ব ভারতে একটিও নেই। নেসলে ইন্ডিয়ার কর্ণধার অবশ্য বলছেন, পরবর্তী দফার সম্প্রসারণে পূর্ব ভারতের কথা ভাবা হবে। যার মধ্যে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। কারণ এই রাজ্যগুলিতে লগ্নির জন্য যথেষ্ট সুবিধাজনক নীতি নেওয়া হয়েছে। নারায়ণন বলেন, ‘‘নেসলের বিভিন্ন পণ্যের প্রধান কাঁচামাল হল দুধ ও গম। পূর্ব ভারতে এগুলির অভাবেই কারখানা খোলা হয়নি।’’ কিন্তু পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে বিরাট বাজার রয়েছে। কাঁচামাল জোগানের বিষয়টি খতিয়ে দেখে লগ্নির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy