Advertisement
২৮ মে ২০২৪

আটক ইউনিটেক কর্তা

টাকা তুলেও গুরুগ্রামে আবাসন প্রকল্প না-গড়ায় প্রতারণার অভিযোগ এ বার ইউনিটেক-এর দিকে। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত শাখা শুক্রবার বেশি রাতে গ্রেফতার করল সংস্থার অন্যতম প্রোমোটার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় চন্দ্র এবং তাঁর ভাই অজয় চন্দ্র।

বিপাকে: সঞ্জয় চন্দ্র।

বিপাকে: সঞ্জয় চন্দ্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:০০
Share: Save:

টাকা তুলেও গুরুগ্রামে আবাসন প্রকল্প না-গড়ায় প্রতারণার অভিযোগ এ বার ইউনিটেক-এর দিকে। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত শাখা শুক্রবার বেশি রাতে গ্রেফতার করল সংস্থার অন্যতম প্রোমোটার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় চন্দ্র এবং তাঁর ভাই অজয় চন্দ্র।

শনিবারই তাঁদের দিল্লির মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আশু গর্গের আদালতে হাজির করা হলে তিনি দুই অভিযুক্তকেই আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই টাকা কোথায় রয়েছে, কারা তার সুবিধা নিয়েছেন এবং প্রকল্পের বিভিন্ন নথি উদ্ধার করার লক্ষ্যেই তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অভিযোগ, প্রোমোটাররা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তবে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীর মতে, এই দুই কর্তাকে আটক করার প্রয়োজন ছিল না। কারণ পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। ফলে তথ্য না-দেওয়ার কারণে তাঁদের দোষারোপ করা যাবে না। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলরা আদালতে বিবৃতি দিয়ে জানাতে চান যে, তাঁরা এ পর্যন্ত পুলিশকে যা যা বলেছেন, তার বাইরে তাঁদের কাছে আর কোনও বাড়তি তথ্য নেই।

গুরুগ্রামের অ্যানথিয়া ফ্লোর্‌স প্রকল্পে মোট ৯১টি অভিযোগ উঠেছে ইউনিটেকের বিরুদ্ধে। প্রকল্পে ফ্ল্যাট বুকিং খাতে সংস্থা মোট সংগ্রহ করেছে ৩৬৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে ওই ৯১ জনই দিয়েছেন ৩৫ কোটির বেশি।

আরও পড়ুন: রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে ডাক এ বার চিনকে

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রকল্প নিয়ে প্রথম অভিযোগকারীরা হলেন জনৈক অরুণ বেদী ও তাঁর মা ঊর্মিলা বেদী। প্রকল্পের বুকিং ২০১১ সালের অগস্টে নেওয়া হলেও তাঁরা সময়ে চাবি হাতে পাননি বলে দিল্লির আদালতে প্রতারণার অভিযোগ আনেন ২০১৫ সালে। পরে ওই একই প্রকল্প নিয়ে আরও ৯০টি অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিটেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করে দিল্লি পুলিশ। প্রকল্পে ফ্ল্যাট কেনার জন্য আবেদনকারী ওই ৯১ জনের অভিযোগ, তাঁদের টাকা ভুয়ো সংস্থা মারফত বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন প্রোমোটাররা। প্রকল্পের লগ্নিকারীরা ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১১ সালে টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টন সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতেও ধরা পড়েন সঞ্জয় চন্দ্র। আট মাস জেলে কাটিয়ে পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sanjay Chandra Unitech Ltd
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE