ইন্টারনেটে তথ্য জোগানোর সুবিধা দিতে গিয়ে তারা নিরপেক্ষ থাকছে না বলে যে-অভিযোগ তীব্র আকার নিচ্ছে, শুক্রবার তা ফের অস্বীকার করল এয়ারটেল ও ফেসবুক।
এ দিন ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গ আবার জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে এই আঙুল তোলা অর্থহীন। কারণ, রিলায়্যান্স কমিউনিকেন্সের সঙ্গে জোট বেঁধে তৈরি তাঁদের যে-ইন্টারনেট ডট ওআরজি বিতর্কের অন্যতম উৎস, সেই অ্যাপ লক্ষ লক্ষ মানুষের দরজায় নেট পৌঁছে দিয়েছে বলে দাবি তাঁর। জুকেরবার্গের মন্তব্য, সমস্ত মোবাইল পরিষেবা সংস্থার জন্যই এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ খোলা।
নেট নিরপেক্ষতা (নেট নিউট্রালিটি) লঙ্ঘনের অভিযোগ ফের উড়িয়েছে ভারতী এয়ারটেলও। সংস্থার এমডি ও সিইও (ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া) গোপাল ভিত্তল-এর দাবি, কোনও পরিষেবা বিনামূল্যেই দেওয়া হোক বা মাসুল নিয়ে, গ্রাহককে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ওয়েবসাইট, তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশনকে (অ্যাপ) সমান চোখে দেখবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে এয়ারটেলের একটি প্রকল্পে নিখরচায় বিভিন্ন অ্যাপ পাওয়ার সুবিধা ঘোষণা করতেই নেট নিরপেক্ষতা লঙ্ঘনের বিতর্ক দানা বাঁধে। বিষয়টিকে সমর্থন করে ওই প্রকল্পে যোগ দেবে না বলে জানায় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। নিরপেক্ষ থাকার যুক্তিতে ইন্টারনেট ডট ওআরজি ছেড়ে বেরোনোর কথা জানায় ক্লিয়ারট্রিপ ডট কম ও টাইমস গোষ্ঠীও। এই অ্যাপটির মাধ্যমে কম রোজগেরেদের বিনা পয়সায় চাকরি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ধরনের সাইট দেখার সুযোগ এনেছে তারা।
এ দিন অবশ্য ফেসবুক ও এয়ারটেল কর্তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের মধ্যেই অনলাইন কেনাকাটার সংস্থা অ্যামাজন ডট কম ও পর্যটন সংস্থা মেকমাইট্রিপ ডট কম জানিয়েছে, কোনও বিশেষ মঞ্চ নয়, বরং সকলের জন্য ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার নীতিতেই দায়বদ্ধ থাকতে তৈরি তারা। যদিও জুকেরবার্গের অভিমত, সকলের জন্য নেট সংযোগ এবং নেট নিরপেক্ষতা, দু’টিই একই সঙ্গে থাকতে পারে এবং থাকা উচিত। যা পালন করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ডট ওআরজি কোনও ভাবেই নেট নিরপেক্ষতার শর্ত ভঙ্গ করছে না বলেই দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy