প্রতীকী ছবি।
গাড়ি কেনার স্বপ্ন থাকে অনেকের। কিন্তু বহু সময়েই বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার দাম কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। অথচ আধুনিক জীবনযাত্রায় তার প্রয়োজন বাড়ছে। বিশেষ করে করোনা ও তার পরবর্তী পর্যায়ে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই অবস্থায় স্বল্প মেয়াদের জন্য গাড়ি ভাড়া নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ভারতে। করোনাকালে এই ব্যবসার বাজারে পা রেখেছিল মারুতি-সুজ়ুকি। এ বার তাদের ব্যবসার মানচিত্রে যোগ হল কলকাতা।
গাড়ি শিল্পের বক্তব্য, প্রযুক্তিতে সড়গড় হলেও দামের চাপে গাড়ি কেনা বা চালানোর ঝক্কি নিতে চাইছে না নতুন প্রজন্ম একটা উল্লেখযোগ্য অংশ। সেই সূত্র ধরেই বেড়েছে অ্যাপ ক্যাবের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে সাময়িক সময়ের জন্য গাড়ি ভাড়া বা লিজ়ের ব্যবসা চালু করেছে খাস গাড়ি সংস্থাগুলিই। মারুতি-সুজ়ুকির সিনিয়র এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তবের দাবি, তাঁদের সমীক্ষা বলছে, তরুণ প্রজন্মের ২৫% অদূর ভবিষ্যতে ভাড়ায় গাড়ি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে। তাই ১২-৬০ মাসের জন্য গাড়ি ভাড়ায় দিতে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তাঁরা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে শুরু করে ১৯টি শহরের পরে সম্প্রতি কলকাতাতেও সেই পরিষেবা শুরু করছে সংস্থাটি।
শশাঙ্ক জানান, যাঁরা কাজের সূত্রের নিয়মিত বদলি হন তাঁদের অনেকেই গাড়ি কিনতে চান না। আবার অনেক দামি গাড়ির ক্রেতা দু’তিন বছর অন্তর গাড়ি বদলান। নতুন গাড়ি কেনার আগে কিছু দিন অন্য গাড়ি পরখ করে দেখতে চান। আবার সদ্য চাকরিপ্রাপ্তদের গাড়ি কেনার ইচ্ছে থাকলেও অনেকে হয় শর্তের গেরোয় ঋণ পান না, অথবা আটকে যান ডাউনপেমেন্ট দিতে গিয়ে। এমন সমস্ত ক্ষেত্রেই সাময়িক গাড়ি ভাড়ার চাহিদা বাড়ছে। গত দেড় বছরে মারুতি-সুজ়ুকির শোরুমে এই সংক্রান্ত খোঁজখবরের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাত গুণ। মাসে এখন ১০০টিরও বেশি গাড়ি এ ভাবে ভাড়ায় দিচ্ছেন তাঁরা। তবে শশাঙ্কের বক্তব্য, লিজ়ে গাড়ি ভাড়ার বাজার এখনও এ দেশের সার্বিক বাজারের মাত্র ২%। উন্নত অর্থনীতিতে যা প্রায় ২৫%। তবে ভারতেও দ্রুত এই বাজার বাড়বে বলে আশাবাদী তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy