ছবি: পিটিআই।
গাড়ি বিক্রিতে ভাটার জেরে উৎপাদন ছাঁটাই চলছিলই। এ বার উত্তর ভারতে মানেসর ও গুরুগ্রামের কারখানা দু’টি দু’দিন বন্ধ রাখার কথা জানাল মারুতি-সুজুকি। দেশের যাত্রিবাহী গাড়ি বাজারের অর্ধেকই যাদের দখলে।
বছরখানেক ধরে দেশের গাড়ি শিল্পের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ২০০৮ সালের পরে এত খারাপ দশা আর হয়নি বলে দাবি শিল্পের। সার্বিক ভাবে এই শিল্পে ইতিমধ্যে অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ কর্মীর কাজ গিয়েছে। মারুতির ওই দু’টি কারখানায় ১২ হাজার অস্থায়ী কর্মীর মধ্যে হাজার তিনেকের কাজ গিয়েছে বলে সম্প্রতি জানান মারুতি উদ্যোগ কামগার ইউনিয়নের সভাপতি রাগেশ কুমার।
মারুতি বুধবার জানিয়েছে, ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর তাদের দু’টি কারখানায় কোনও গাড়ি তৈরি হবে না। বিক্রি কমায় সাত মাস ধরে তারা উৎপাদন ছাঁটাই করে চলেছে। অগস্টে উৎপাদন কমেছে প্রায় ৩৪%। সূত্রের দাবি, গত বছর অগস্টে মানেসর ও গুরুগ্রামে দিনে গড়ে ৬৭০০টি গাড়ি তৈরি হলেও এ বার হয়েছে প্রায় ৪৫০০টি। সংস্থাটি অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি।
টাটা মোটরস জামশেদপুরের বাণিজ্যিক গাড়ির কারখানাটি অগস্টে কিছু দিন বন্ধ রাখে। হোন্ডা, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা, টয়োটা কির্লোস্কার মোটরস, হুন্ডাই, হিরো মোটো কর্প, টিভিএসের মতো অনেক সংস্থাই কয়েক দিন হয় সম্পূর্ণ, না হয় আংশিক উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। গাড়ি শিল্পে এই মন্দার বিরূপ প্রভাব স্বাভাবিক ভাবেই পড়বে যন্ত্রাংশ শিল্পে।
উৎপাদনমুখী শিল্পে গাড়ি শিল্পের অংশীদারি ৪৯%। মোট কর্মসংস্থানের ৮%-এ উৎস এই শিল্প। চাকা ঘোরাতে জিএসটি হ্রাস ও পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি চালুর দাবি তুলছে শিল্পমহল। তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও সম্প্রতি বেশ কিছু সুবিধার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy