পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে যখন ধর্মঘটের রাস্তায় নামার হুমকি দিয়েছে কিছু ব্যবসায়ী সংগঠন, তখন ব্যবসায়ীদেরই আর এক সংগঠন উদ্যোগী হয়েছে জিএসটি সুষ্ঠুভাবে চালু করার জন্য সহায়তা দিতে।
আগামী ৩০ জুন মধ্যরাতে জিএসটি চালু হওয়ার ঠিক আগের দিন এর বিরোধিতা করতে দেশ জুড়ে ব্যবসা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভারতীয় উদ্যোগ ব্যাপার মন্ডল। অন্য দিকে, জিএসটি আইন মেনে কী ভাবে কর দিতে হবে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির চালু করতে চলেছে কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)।
জিএসটি মেনে কী ভাবে কর মেটাতে হবে, সে ব্যপারে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সারা দেশে ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির তারা চালু করতে চলেছে বলে জানিয়েছে সিএআইটি। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ট্যালি সলিউশন্স এবং মাস্টার কার্ডের সহায়তা নেবে সিএআইটি।
সংগঠনের সভাপতি বিসি ভার্তিয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল অবশ্য জানান, ‘‘জিএসটি ব্যবস্থায় কর মেটানোর প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চূড়ান্ত ধন্দ রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। আমরা সেটা করতেই উদ্যোগী হয়েছি।’’
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় ব্যাপার মন্ডল অনুমোদিত ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশন্সের সাধারণ সম্পাদক তারকনাথ ত্রিবেদী জানান, জিএসটির বিরোধিতা করতেই তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে জোর করে জিএসটি চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে যাঁরা ছোট, তাঁরা চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়বেন। এর প্রতিবাদ জানাতেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে ব্যবসা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’
কিন্তু প্রতিবাদই যদি করতে হয়, তাহলে জিএসটি চালুর মাত্র এক দিন আগে ওই ধর্মঘট ডাকা কতটা কার্যকর হবে? তারকনাথবাবু বলেন, ‘‘আমরা অনেক আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের অসুবিধার বিষয়গুলি কেন্দ্রকে জানিয়েছি। আশা ছিল, তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। কিন্ত দেখা যাচ্ছে, তারা তার বদলে জোর করে জিএসটি চালু করতে চাইছে। তাই এই প্রতিবাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy