অগস্ট মাসে মিশ্র ফল দেখা গেল দেশের যাত্রী গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে। গত মাসে দেশে যাত্রী গাড়ি বিক্রিতে নতুন রেকর্ড করেছে হুন্ডাই। বিক্রি ভাল মতন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে মারুতি-সুজুকি এবং টাটা মোটরসও। তবে বিক্রি কমেছে মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা এবং হোন্ডা কারস ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলির।
অগস্টে দেশের বাজারে ১,০৬,৭৮১টি গাড়ি বিক্রি করেছে মারুতি-সুজুকি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৬ শতাংশ বেশি। এই সময়ে তাদের ছোট গাড়ি অল্টো এবং ওয়াগন-আরের বিক্রি বেড়েছে ৮.৬ শতাংশ। নতুন প্রিমিয়াম ক্রসওভার গাড়ি এস-ক্রস বিক্রি হয়েছে ৪,৫০০টিরও বেশি। অন্য দিকে, হুন্ডাইয়ের বিক্রি বেড়েছে ২০.০১ শতাংশ। যা দাঁড়িয়েছে ৪০,৫০৫টিতে। সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকেশ শ্রীবাস্তব বলেন, নতুন এসইউভি ক্রেটা, এলিট আই-২০, আই-২০ অ্যাক্টিভের মতো গাড়িগুলির বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। শুধুমাত্র ক্রেটাই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭,৪০০টি।
টাটা মোটরসের ক্ষেত্রে দেশে যাত্রী গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৯ শতাংশে। সংখ্যার বিচারে তা ৯,৮১৪টি। টাটা মোটরস কর্তা ময়াঙ্ক পারিখের অবশ্য দাবি, সংস্থাগুলি নিত্যনতুন গাড়ি বাজারে আনার জেরেই বিক্রি বেড়েছে। যদি সেগুলি বিচার না-করা হয়, সে ক্ষেত্রে আসলে গাড়ি শিল্পে বিক্রি কমেছে বলেই দাবি তাঁর। পারিখ বলেন, সাধারণ দেখা যায় উৎসবের মরসুম আসার আগে অগস্ট থেকেই গাড়ি বিক্রি বাড়তে থাকে। কিন্তু এ বার তা হয়নি। ক্রেতা চাহিদা না-থাকা এবং সুদ কমার আশায় গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখাই যার কারণ। একই সঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের মধ্যে দামের ফারাক কমে আসা এবং উৎপাদন শুল্ক বৃদ্ধি এসইউভি বিক্রির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অগস্টে টয়োটা কির্লোস্কারের বিক্রি বেড়েছে মাত্র ১.২৯ শতাংশ। নতুন গাড়ি ক্যামরি বিক্রি কিছুটা হলেও বাড়াতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে তারা। এই সময়ে বিক্রি বেড়েছে ফোর্ড ইন্ডিয়া (২২.৪৯ শতাংশ) এবং ফোক্সভাগেনের (৪.৫৯ শতাংশ) তবে এর মধ্যেই সময় ভাল যায়নি মহীন্দ্রার। সংস্থার যাত্রী গাড়ি বিক্রি কমেছে ৩.১০ শতাংশ। আসন্ন উৎসবের মরসুম বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে বলেই তাদের আশা। একই সঙ্গে গত মাসে হোন্ডারও বিক্রি কমেছে ৬.৫৮ শতাংশ। তাদের জ্যাজ গাড়িটির নতুন সংস্করণও বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy