তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে লগ্নি টানতে রাজ্যে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (সেজ) থাকাটাই একমাত্র শর্ত নয়। তবে প্রতিযোগিতায় টক্কর দিতে তা হতে পারে মোক্ষম হাতিয়ার। পশ্চিমবঙ্গে ইনফোসিস ও উইপ্রোর থমকে থাকা বিনিয়োগ প্রসঙ্গে সেজের পক্ষে এ ভাবেই ঘুরিয়ে সওয়াল করলেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন ন্যাসকমের চেয়ারম্যান সি পি গুরনানি। স্টার্ট-আপ (সদ্য তৈরি) সংস্থাগুলির সহায়ক হিসেবে অবশ্য রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তিনি।
শুক্রবার কলকাতায় সংগঠনটির বার্ষিক অনুষ্ঠানে এসে গুরনানি বলেন, নতুন সংস্থার বেড়ে ওঠার জন্য এ রাজ্যের পরিবেশ ও পরিকাঠামো ভাল। এখানকার মেধায় ভর করে কলকাতার বাইরেও বেড়ে উঠেছে বহু সংস্থা। তবে সেজ বিতর্কে দুই সংস্থার প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘শুধু সেজ নয়, উন্নত পরিকাঠামো ও মেধাও লগ্নি টানার জরুরি শর্ত। যদিও সেজ তকমার সুবাদে পাওয়া আর্থিক সুবিধা রফতানিকারী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’
সেজ বিরোধী হিসেবে শুরু থেকেই অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারেও ছিল সে কথা। ফলে সে বার সরকার বদলের পরেই আটকে যায় ইনফোসিস-উইপ্রোর প্রকল্প। তবে মমতা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পরে প্রকল্প দু’টি নিয়ে ফের সরগরম তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহল। যার মূল কারণ, ২০১৬ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে সেজ নিয়ে দলীয় অবস্থান না-লেখা। সেখানে সেজে ছাড়পত্রের প্রতিশ্রুতি ছিল না। কিন্তু বলা হয়নি বিরোধিতার কথাও। রাজ্যের অবস্থান বদল নিয়ে জল্পনা জোরালো হয় উইপ্রোর পদক্ষেপে। তারা সম্প্রতি কেন্দ্রের সেজ সংক্রান্ত অনুমোদন পর্ষদে রাজারহাটে তা তৈরির আবেদন জানিয়েছে। অনেকের মতে, রাজ্যের তরফে ইঙ্গিত না পেলে ফের এই আবেদন করত না সংস্থা। কিন্তু রাজ্যের সুপারিশ না থাকায় সেজ তকমা উইপ্রোকে দেওয়া হয়নি, জানায় পর্ষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy