ভারতে স্ন্যাপডিল, ওলা-র মতো সংস্থায় করা লগ্নিতে ৩৫ কোটি ডলার (প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা) লোকসান হয়েছে বলে জানিয়ে দিল সফট ব্যাঙ্ক। আবার বৃহস্পতিবারই নিজেদের শাখা শোপো-র ঝাঁপ বন্ধ করার কথা জানাল ই-কমার্স সংস্থা স্ন্যাপডিল। একই দিনে নেটে ট্যাক্সি ডাকার সংস্থা ওলা-র সিএফও পদ থেকে সরার কথা জানালেন রাজীব বনসল। ওই সংস্থার চিফ মার্কেটিং অফিসার পদ ছাড়ছেন রঘুবেশ স্বরূপও। সব মিলিয়ে, কিছুটা অস্থির এ দেশের নেটে কেনাকাটা ও পরিষেবার বাজার।
বাজার দখল বাড়াতে ঢালাও ছাড় ও নানান সুবিধা দেয় নেট দুনিয়ার কেনাকাটা (ই-কমার্স) ও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। এ জন্য লাভের দিকেও সে ভাবে তাকায় না তারা। মন দেয় ক্রেতা বা গ্রাহক সংখ্যা ও বাজার বাড়ানোয়। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নেট-বাজারের আকাশে মেঘ জমার সেটিই কারণ।
হিসেব বলছে, ওই বাজারে ব্যবসা করা বহু সংস্থার বিক্রি লাফিয়ে বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু পাল্লা দিয়ে লোকসানও বাড়ছে ফি বছর। ছাড়ের মোড়কে লাভের গুড় খাচ্ছেন ক্রেতা। অথচ নাগাড়ে মোটা লোকসান করে চলেছে স্ন্যাপডিল, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থা। একই ছবি ওলা, উবেরের মতো ট্যাক্সি পরিষেবা অ্যাপের ক্ষেত্রেও।
বছর তিনেক আগেই দেশের খুচরো বিক্রেতাদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার অভিযোগ ছিল, অধিকাংশ অনলাইন সংস্থাই লোকসানে চলছে। তারা যে পরিমাণ ছাড় দিচ্ছে, লাভ রেখে ব্যবসার সঙ্গে তার কোনও সঙ্গতি নেই। এবং তা তারা করতে পারছে মূলত বিদেশি পুঁজির দৌলতে। দীর্ঘ মেয়াদে এ ভাবে ব্যবসা চালানো সম্ভব কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে বারবারই। কিন্তু তাতেও নেট দুনিয়ায় ছাড়ের লড়াই থামেনি।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই লাগামছাড়া ছাড় আর সুযোগ-সুবিধার বিপদঘন্টি এ বার বাজতে শুরু করেছে। লগ্নিকারীরা দেখছেন, বিপুল টাকা ঢেলেও লাভ হচ্ছে না। ছাড়ের দাপটে তা উড়ে যাচ্ছে কর্পূরের মতো। আবার ছাড় না দিলে বিক্রি তলানিতে ঠেকছে। ফলে ব্যবসা কবে লাভজনক হবে, তা ঠাওর করতে পারছেন না লগ্নিকারীরা। তাই কমছে তাতে ঢালা টাকার আগ্রহও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy