কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার সাড়ে তিন বছরে যে ঢালাও আর্থিক সংস্কারের সূচনা করেছে, এ বার সেগুলি রূপায়ণে জোর দিতে বলল নীতি আয়োগ। একমাত্র তা হলেই কাঙ্ক্ষিত ফল হাতে আসবে বলে রবিবার মন্তব্য করেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
নতুন করে এখনই আরও সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়ার চেয়ে এই মুহূর্তে ঘর গোছানোর উপর জোর দিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সমাজ উন্নয়নে এখনও অনেক পথ হাঁটতে হবে। যে-কারণে আগামী ১৮ মাসে গুরুত্ব দিতে হবে জনস্বাস্থ্য প্রকল্পে ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে।’’
গত ৪২ মাসে মোদী সরকারের আর্থিক সংস্কারের খতিয়ান এ প্রসঙ্গে দিয়েছেন রাজীব কুমার। সেই তালিকায় রয়েছে:
• বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ আইন আনা
• পণ্য-পরিষেবা কর বা জিএসটি রূপায়ণ
• নতুন দেউলিয়া আইন চালু করা
• ভর্তুকির টাকা প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমার নিয়ম চালু করা
এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৮ মাসের পথনির্দেশ বাতলেছেন কুমার। তাঁর মতে, সংস্কারের ফসল ঘরে তোলার উপরই জোর দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। দেখতে হবে সংস্কার রূপায়ণের কাজ ঠিক মতো এগোচ্ছে কি না। পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে বাড়তি নজর দিতে বলেছেন তিনি। তাঁর মতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রের হাল না-ফিরলে মানবসম্পদকে আরও উন্নত করা সম্ভব নয়।
কর্মসংস্থান তেমন হয়নি বলে মোদী সরকারকে অনেকেই দুষলেও তা ‘রং চড়িয়ে’ আনা অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছেন কুমার। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই কাজের সুযোগ যথেষ্ট বেড়েছে। তবে সব সময়ে তা হয়তো সংগঠিত ক্ষেত্রে নয় বলে কবুল করেন কুমার। কর্মসংস্থান বাড়া প্রসঙ্গে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আসা কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমেও অনেক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। পরিষেবা ক্ষেত্রেও কর্মী সংখ্যা বেড়েছে, বিশেষ করে পর্যটন, পরিবহণের মতো ক্ষেত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy