ফাইল চিত্র।
আর্থিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান-সহ দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের বিরোধীদের নিশানায় মোদী সরকার। শুক্রবার কংগ্রেসের অভিযোগ, কেন্দ্র অদক্ষ হাতে অর্থনীতি সামলানোর ফলেই ভারতের উন্নতির সম্ভাবনা পিছিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির পুনর্গঠনের দিশা স্থির করার পরিবর্তে তাদের সমস্ত চেষ্টা শুধু (বিভিন্ন রাজ্যে) বিরোধী দলের সরকার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে।
টুইটে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের কটাক্ষ, যে দিন (বৃহস্পতিবার) বিজেপি মুখপাত্র দাবি করলেন কর্মসংস্থানের হার বাড়ছে, সেই দিনই সিএমআইই জানাল বেকারত্ব অগস্টে বেড়ে ৮.৩% ছুঁয়েছে। শহরে ৯%, গ্রামে ৭.৭%। দু’টোই জুলাইয়ের থেকে বেশি। মোদী সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে দাবি করে, দলের মুখপাত্র গৌরব বল্লভের তির, গত তিন বছরে মাত্র ৩% বৃদ্ধি। এক বছরে সব থেকে চড়া বেকারত্ব (৮.৩%), ৬ শতাংশের সীমা ছাড়ানোখুচরো মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামের পতন নিয়েও কেন্দ্রকে দুষেছেন। তাঁর দাবি, এ থেকেইবোঝা যায় তারা কতটা দিশাহীন ও অদক্ষ ভাবে অর্থনীতি সামলাচ্ছে।
এপ্রিল-জুনে ১৩.৫% বৃদ্ধিকে ‘বিরাট’ লাফ মনে হলেও, তা যে নয় সেটা স্পষ্ট। কেন্দ্রের ১৫% পূর্বাভাসেরথেকে তো তা কম বটেই, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ১৬.২% অনুমানের নীচে। এর পরেই মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় ২০২২ সালে বৃদ্ধির পূর্বাভাস নামিয়েছে ৭.৭ শতাংশে। স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা এই অর্থবর্ষে তা কমিয়ে করেছে ৬.৮%। উপদেষ্টা সংস্থা নমুরা বলেছে, পরিসংখ্যানে ঢিমে তালে বৃদ্ধির ইঙ্গিত। যদিও আইএমএফের তথ্য তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমের খবর, ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা পেয়েছে ভারত।
এ দিন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট। যার প্রভাব দেশে পড়বে। তাই মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা অগ্রাধিকার হলেও, তাঁদের লক্ষ্য অর্থনীতিকে রক্ষা করাই। তাঁর আশা, এপ্রিল-জুনে মূল্যবৃদ্ধি নামবে ৫ শতাংশে। তবে ঋণনীতি কমিটির সদস্য জয়ন্ত বর্মার মতে, টানা সুদ বৃদ্ধির ফল এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy