প্রতীকী ছবি।
আর্থিক সাক্ষরতা নিয়ে গত কয়েক বছর কথাবার্তা কম হচ্ছে না। সুফল যে একেবারেই মেলেনি, এমনটাও নয়। কিন্তু খাস শহরের অধিকাংশ মানুষ তাঁদের সিবিল স্কোর সম্পর্কে এখনও তেমন ওয়াকিবহাল নন। হোম ক্রেডিট ইন্ডিয়ার এক সমীক্ষায় এমন ছবিই স্পষ্ট হয়েছে।
ঋণ তো বহু মানুষই নেন। কিন্তু তাঁদের ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি কতটা? ব্যাঙ্ক বা ঋণদাতা সংস্থাগুলি তা বুঝতে পারে ঋণগ্রহীতার সিবিল স্কোর থেকে। ৭৫০-এর বেশি হলে সেই স্কোরকে ভাল বলা হয়। যাঁদের সিবিল স্কোর ভাল, তাঁদের সহজে কম সুদের হারে ঋণ পাওয়ার সুযোগ থাকে। ইন্টারনেট থেকে সিবিল স্কোর জানতে পারেন সাধারণ মানুষও। স্কোর কম হলে ঘাটতি কোথায়, তা-ও জানা সম্ভব।
আর্থিক সাক্ষরতা নিয়ে দেশের সাতটি শহরের ১০০০ জন ঋণগ্রহীতার মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল হোম ক্রেডিট ইন্ডিয়া। দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫২% সিবিল স্কোরের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। অথচ ৬৮% গ্রাহক নিজেদের সিবিল স্কোরই জানেন না। পটনার ২২% ঋণগ্রাহক নিজেদের সিবিল স্কোর জানেন। কলকাতার জানেন ২৫%। বিস্ময়ের হলেও সত্যি, বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইয়ের ক্ষেত্রেও তার ২৫%। সমীক্ষায় আরও কয়েকটি উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় সকল ঋণগ্রহীতা ঋণের মাসিক কিস্তির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল হলেও সুদের হার জানেন না প্রায় ৭৬%।
সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আর্থিক সাক্ষরতা যে কোনও দেশের আর্থিক অগ্রগতির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। তাই মানুষকে আর্থিক শিক্ষা দিতে হলে কোথায় কোথায় জোর দিতে হবে, তা এই ধরনের সমীক্ষায় স্পষ্ট হয়। আশার কথা, যাঁদের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পাসবই ইত্যাদি সম্পর্কে জানেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy