প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণ আটকাতে বিভিন্ন রাজ্য গত কয়েক মাস নানা বিধিনিষেধের পথে হেঁটেছে। পাশাপাশি চিকিৎসায় অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়াতে আর পাঁচটা শিল্পের মতো কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখেছে বা কমিয়েছে গাড়ি সংস্থাগুলিও। ফলে বুধবার এই শিল্পের সংগঠন সিয়ামের হিসেব বলছে, জুনে বিক্রি সামান্য বাড়লেও, সব মিলিয়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝাপটায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) গাড়ি ব্যবসার ছবিটা আঁতকে ওঠার মতো। সংস্থাগুলি ডিলারদের কাছে ক’টা গাড়ি বেচতে পেরেছে (পাইকারি বাজারে) তা জানিয়ে ফের তেলের দাম নিয়েই মূলত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। সিয়াম কর্তাদের বক্তব্য, পেট্রল এবং ডিজেলের চড়তে থাকা দাম অদূর ভবিষ্যতে এই শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর জমিটাই কেড়ে নিতে পারে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে গত মার্চ থেকে বিক্রি কমছিল। তবে জুনে বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় বিধিনিষেধ ওঠায় মে মাসের তুলনায় তা বেড়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মে মাসে বা গত বছর জুনে ব্যবসা এত কম হয়েছিল যে তার তুলনায় পরিস্থিতি আঁচ করা অনুচিত। বরং তারা এপ্রিল-জুনের হিসেবকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। সিয়ামের ডিজি রাজেশ মেনন বলছেন, ‘‘সেই হিসেবে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির পাইকারি বিক্রি বহু বছর পিছিয়ে গিয়েছে।’’
ডিলার সংস্থাগুলির দাবি, সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই গণ-পরিবহণ এড়াতে গাড়ি কিনতে চাইছেন। ফলে বিক্রি বেশি হওয়ার কথা। অথচ সিয়ামের হিসেবে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
সিয়ামের প্রেসিডেন্ট কেনিচি আয়ুকায়া বিভিন্ন ত্রাণ প্রকল্প নিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও, তেলের চড়া দরের জেরে গাড়ি বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ গোপন করেননি। বলেছেন, ‘‘ঊর্ধ্বমুখী তেলের দর আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তেল দামি হলে মানুষ গাড়ি কিনতে দ্বিধাগ্রস্ত হবেন। এটা উদ্বেগের। কত দিন এমন চলবে জানি না।’’ তাঁর দাবি, ঐতিহাসিক ভাবে দেখা গিয়েছে, যখনই তেলের দাম বাড়ে, গাড়ির চাহিদা কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy