প্রথমে ক্যুরিয়র আর তার পরে মোবাইল, ই-মেলের দাপটে চিঠির দিন গিয়েছে। দেশ জুড়ে নিজেদের বিপুল পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে তাই ব্যবসার বিকল্প রাস্তা খোঁজার উপর জোর দিচ্ছে ডাক বিভাগ। সেই সূত্রেই হৃষিকেশের গঙ্গাজল, ঘড়ি, বই ইত্যাদির পরে এ বার রিলায়্যান্স জিও-র ফোনও বুক করা যাবে ডাকঘরে। এ রাজ্যের কোন-কোন ডাকঘরে সে জন্য আগাম বুকিং করা যাবে, তা আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে বলে ডাক বিভাগ সূত্রের খবর।
সরকারি সূত্রের খবর, সম্প্রতি ডাক বিভাগের দিল্লি সার্কেলের সঙ্গে এ নিয়ে মউ সই করেছে জিও। বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত নির্দেশের চিঠি এসেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলে। শুক্রবার ওই সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল অরুন্ধতী ঘোষ জানান, কমিশনের ভিত্তিতে ওই ফোন বিপণনের জন্য জিও-র প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ডাক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘‘কিছু বিষয় দিল্লির কাছে বিশদে জানতে চেয়েছি। ব্যবস্থা চালু করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে ও অন্যত্র আগেও এ ভাবে এইচএমটি ঘড়ি, সৌর লণ্ঠন, বই, চাষিদের জন্য সয়েল হেল্থ কার্ড ইত্যাদি বিক্রি করা হয়েছে। অন্য ফোন সংস্থা চাইলে এবং সেই প্রস্তাব লাভজনক হলে, সেটিও ডাকঘরে বিক্রি হতে পারে।’’
ডাক বিভাগের পরিকাঠামো দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, সেটিকেই কাজে লাগিয়ে চা, বোতলবন্দি গঙ্গাজল, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি বিক্রি হয়েছে এ রাজ্যের বিভিন্ন ডাকঘরে। যেমন, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে এক বছরে প্রায় ৩৬ হাজার বোতল গঙ্গাজল বিক্রি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল আয় করেছে ৬ লক্ষ টাকারও বেশি। এ সব বিক্রিবাটার জন্য আলাদা পরিকাঠামো লাগে না। অথচ আয়ের সূত্র তৈরি হয়।
তবে সরকারি সূত্রে খবর, আপাতত ডাকঘরে জিও ফোনের বুকিং নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরে সেখান থেকেই তা মিলবে কি না, সেটি স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে জিও-র তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy