—প্রতীকী চিত্র।
রাজধানী ও শতাব্দীর মতো ট্রেন থাকা সত্ত্বেও কম খরচের উড়ান পরিষেবার কাছে যাত্রী হারাচ্ছিল ভারতীয় রেল। তাদের দাবি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর পরে ছবিটা বদলাাচ্ছে। মূলত কম ভাড়ার কারণে উড়ানের যাত্রী টানছে এই ট্রেন। ফলে বিভিন্ন রুটে কমতে শুরু করেছে বিমানে টিকিটের খরচ। যা কোভিডের পরে বিপুল চড়ে।
রেল সূত্রে খবর, চেন্নাই-বেঙ্গালুরু, মুম্বই-পুণে, জামনগর-আমদাবাদ, দিল্লি-জয়পুর, তিরুঅনন্তপুরম-কাসারগড়ের মতো রুটে বন্দে ভারতের উপস্থিতি উড়ানের ভাড়া কমাতে বাধ্য করছে। কারণ, যাত্রীদের ১০%-২০% আকাশপথ ছেড়ে রেলপথে ঝুঁকছেন। চাহিদা কমায় বিমান ভাড়া ২০%-৩০% কমেছে। সড়কপথের বদলেও বহু সম্পন্ন যাত্রী সময় ও সুরক্ষার জন্য বন্দে ভারতে যাচ্ছেন। দেশে এখন ৩৪টি রুটে চলে ট্রেনটি। রেলের যুক্তি, আরও কিছু বিষয় উড়ান সংস্থাগুলিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। তার মধ্যে রয়েছে শহর থেকে বিমানবন্দরের বেশি দূরত্ব, বন্দে ভারতের বাড়তি গতি, ট্রেনের গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি না হওয়া, ঝাঁকুনিবিহীন সফর ইত্যাদি।
সংশ্লিষ্ট কর্তাদের বক্তব্য, গড়ে ৭০০ কিলোমিটার ট্রেন যাত্রায় আগে ১০ ঘণ্টার বেশি লাগত। বন্দে ভারত ৮ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছে। বয়স্ক বা হাঁটুর সমস্যায় ভোগা যাত্রীদের পক্ষে উঁচু বার্থে ওঠা অসুবিধাজনক। তাঁদের অনেকে বন্দে ভারতের চেয়ারকারকে বাছছেন। সূত্র জানিয়েছে, এ রাজ্যে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতে বেশির ভাগ সময়ে টিকিটের চাহিদা ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। যাত্রী টানছে হাওড়া-পুরী, গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি রুট। রেলের দাবি, রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত টাটা এবং পুরুলিয়া স্টেশন থেকে বিপুল যাত্রী পাচ্ছে। পর্যটকদের মতে, ঝাড়খণ্ডের মুরির বদলে ঘাটশিলায় ট্রেন থামলে ভিড় বাড়বে। একাংশের মতে, রাজধানী ও শতাব্দীর মতো ট্রেন পরিষেবায় পিছিয়ে পড়ছে। তার উপর সেগুলিতে উড়ানের ধাঁচে ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ রয়েছে। টিকিটের চাহিদা বাড়লে ভাড়া বাড়তে থাকে। সেই চাপ না থাকাও বন্দে ভারতকে আকর্ষণীয় করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy