—প্রতীকী চিত্র।
সমীক্ষা বলছে, দেশে প্রতি বছর যত মানুষ কাজের বাজারে পা রাখেন তাঁদের জন্য যথেষ্ট কাজ বহু বছর ধরেই তৈরি হচ্ছে না। তবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির সদস্য অসীমা গয়ালের দাবি, ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি হলেও, সেই ধারা ‘ক্ষণস্থায়ী’। বরং এখন তরুণেরা চাকরি খোঁজার সঙ্গে সঙ্গেই অন্য কাজ করা ও দক্ষতা বাড়ানোয় জোর দেন। চান উদ্যোগপতি হতে। অনেকে তাতে সফলও হন। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়ছে বলেও দাবি তাঁর।
যদিও পাশাপাশি অসীমার বক্তব্য, কর্মসংস্থানে গতি আনতে চাই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো, বিমা এবং দক্ষতা বাড়ানোর নীতি তৈরি করা। সে ক্ষেত্রে স্থায়ী সরকারি চাকরি দিয়ে সুরক্ষার জায়গা হয়তো করা যায়, কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয় না। ফলে তার উপরে ভরসা করে থাকার মানে হয় না।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০২২ সালে ভারতে কর্মহীন মানুষের মধ্যে ৮৩ শতাংশই তরুণ প্রজন্মের। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গে অসীমার দাবি, ‘‘কম বয়সিদের মধ্যে বেকারত্ব সর্বাধিক ঠিকই। কিন্তু তা সাময়িক। ...ভাল চাকরির অপেক্ষা করতে করতেই তাঁরা ছোটখাটো কাজ করেন বা ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোগপতি হওয়ার পথে হাঁটেন। কেউ কেউ সফলও হন।’’ রিপোর্ট যে তরুণদের বেকারত্ব ২০১৯-এর ১৭.৫% থেকে কমে ২০২৩ সালে ১০% হয়েছে বলে জানিয়েছে, তা-ও মনে করান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy