বিনিয়োগ বাড়ানোই এখনও ভারতের অর্থনীতির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে সতর্ক করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে চলতি ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক (এপ্রিল-জুন) থেকে ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে বলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ভারতের আর্থিক স্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টে জানিয়েছে। এ দিনই আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাঙ্কও এ বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন রিপোর্টে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের আর্থিক কর্মকাণ্ডের প্রসারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট (এফ এস আর) প্রকাশ করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানেই তারা বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি ছন্দে ফিরছে এবং সার্বিক ভাবে সেই বৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মতো সম্ভাবনাময় দেশগুলি থেকে রফতানি বাড়ছে। নোট বাতিল ও জিএসটি-র ধাক্কা কাটিয়ে উঠে অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক বৃদ্ধিও বাড়ার মুখ নিয়েছে। কিন্তু এখনও বৃদ্ধির পথে কাঁটা সার্বিক লগ্নি পরিস্থিতি, মন্তব্য করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তবে ইতিবাচক সঙ্কেতগুলিও চিহ্নিত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই তালিকায় রয়েছে:
• দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে থমকে থাকা প্রকল্পের সংখ্যা ও সেগুলির জন্য বাড়তি খরচ কমে আসা।
• সহজে ব্যবসা করার মাপকাঠিতে ভারতের স্থান ওপরে ওঠা।
• মুডি’জ-এর রেটিং বাড়ানো।
• ব্যাঙ্কে বাড়তি মূলধন জোগানোর জন্য কর্মসূচি।
পাশাপাশি, গত অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কিং শিল্পের গতিপ্রকৃতি নিয়েও রিপোর্ট দিয়েছে আরবিআই। তারা জানিয়েছে, অনুৎপাদক সম্পদে রাশ টানতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যেই ‘প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশন’ (পিএসি) সংক্রান্ত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এর আওতায় পড়া ব্যাঙ্ক আপাতত নতুন ঋণ বণ্টন করতে পারবে না। ডিভিডেন্ড বণ্টন-সহ আরও কিছু বিষয়েও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা।
অন্য দিকে, আইএমএফ-বিশ্বব্যাঙ্ক রিপোর্ট জানাচ্ছে, আর্থিক সম্পদের আয়তনেও যথেষ্ট স্থিতি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ ভাবে তা জাতীয় আয়ের ১৩৬ শতাংশেই রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy