‘জিও প্রাইম’ প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর সময়ে গত শুক্রবার ‘সামার সারপ্রাইজ’ প্রকল্পে তিন মাস নিখরচায় পরিষেবা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন রিলায়্যান্স জিও-র কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। কিন্তু জিও জানিয়েছে, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর ‘পরামর্শ’ মেনে নিয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেই পরিষেবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। অবশ্য ইতিমধ্যেই যে-সব জিও-প্রাইম গ্রাহক ওই পরিষেবা নিয়েছেন, তাঁদের আশ্বস্ত করে সংস্থা জানিয়েছে, শুধু তাঁরাই নন, যাঁরা এই পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আগে তা নেবেন, সকলেই সে সুযোগ পাবেন।
গত সেপ্টেম্বরে প্রথম বাজারে প্রবেশের কথা ঘোষণার সময় থেকেই জিও নিখরচায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়ার কথা জানায়। পরে তার সময়সীমাও বাড়ায় মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কের আয়ের পথ ঋণনীতিতে
এপ্রিল থেকে মাসুল নেওয়ার কথা বলেছিলেন মুকেশ। তবে যাঁরা মার্চের মধ্যে যাঁরা জিও-প্রাইম-এর গ্রাহক হবেন, তাঁদের বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে সংস্থার ১০ কোটি গ্রাহকের মধ্যে ৭.২ কোটি গ্রাহক ওই পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত হন। ৩১ মার্চ অবশ্য মুকেশ জানান, জিও-প্রাইম গ্রাহক হওয়ার সময়সীমা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ছে। এবং সেই সঙ্গে ‘সামার সারপ্রাইজ’ প্রকল্পে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ৯৯ টাকায় নথিভুক্তির পাশাপাশি প্রথম রিচার্জে ৩০৩ বা তার বেশি টাকা দিলে তিন মাস নিখরচায় পরিষেবা মিলবে। এক বিবৃতিতে সংস্থার দাবি, প্রকল্প প্রত্যাহারের ‘পরামর্শ’ দিয়েছে ট্রাই। কয়েক দিনে তা তুলে নেওয়া হবে।
কবে কী
•
১ সেপ্টেম্বর: জিও আনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিখরচায় পরিষেবা
•
১ ডিসেম্বর: এল ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ প্রকল্প। বিনামূল্যে পরিষেবার মেয়াদ বেড়ে ৩১ মার্চ
•
২১ ফেব্রুয়ারি: পরিষেবার খরচ জানালেন মুকেশ অম্বানী
•
১ মার্চ: আনা হল প্রাইম প্রকল্প
•
৩১ মার্চ: ১৫ দিন বাড়ল প্রাইমে নথিভুক্তির সময়। ৩০৩ টাকা বা তার বেশি রিচার্জে আরও তিন মাস বিনামূল্যে পরিষেবা
•
৬ এপ্রিল: ট্রাইয়ের ‘পরামর্শে’ বিনামূল্যে পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা জিও-র। বহাল থাকবে ইতিমধ্যেই নথিভুক্তদের জন্য
প্রকল্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সন্তোষ জানান সেলুলার অপারের্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই)-র ডিরেক্টর জেনারেল রাজন এস ম্যাথুজ। তিনি বলেন, ‘‘ট্রাই ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে শুধু মাসুল হার দেখে নয়, পরিষেবার মান বিচার করে গ্রাহক সংস্থা বাছবেন।’’
বস্তুত, টেলিকম শিল্পের অভিযোগ ছিল, প্রতিযোগীদের হটাতেই এই কৌশল। কারণ দীর্ঘ দিন ধরে সস্তায় পরিষেবা দেওয়া ব্যবসায়িক ভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু ট্রাই-এর হিসেবে, গতি বা গুণগত মানেও জিও এগিয়ে। এ প্রসঙ্গে রাজন বলেন, ‘‘যদি সেটাই হয়, তা হলে গ্রাহকেরা সে ভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন। পুরনো সংস্থাগুলিকেও মানোন্নয়ন নিয়ে ভাবতে হবে।’’ তবে আদালতে বিচারাধীন বলে জিও-র সুবিধা দেওয়ার প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy