সাইরাস মিস্ত্রি নিয়ে টাটাদের অস্বস্তি বাড়াল রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজের তরফে দেওয়া জবাব।
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে আচমকা সরানোর সিদ্ধান্ত অনৈতিক বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। তকমা দিয়েছিলেন স্বেচ্ছাচারের। এ বার টাটাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিল তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় খোদ রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজের তরফে দেওয়া জবাব।
মুম্বইয়ের সহযোগী রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ উদয় খোমানে জানান, বলা নেই কওয়া নেই এক দিন হঠাৎ করে মিস্ত্রিকে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করা কোম্পানি আইন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি লঙ্ঘন তো বটেই। সেই সঙ্গে গুরুতর ব্যাপার হল, ওই সিদ্ধান্ত ভেঙেছে টাটাদের নিজেদের আর্টিকল্স অব অ্যাসোসিয়েশনের শর্তও। যেখানে সংস্থা তাদের উদ্দেশ্য ও সদস্যদের দায়িত্ব লিখে রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজে দাখিল করে।
শুধু টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের পদ কাড়ার ক্ষেত্রে নয়, খোমানের দাবি, টাটাদের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএসের ডিরেক্টর পদ থেকে সাইরাসকে সরানোর সিদ্ধান্তেও কোম্পানি আইন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি এবং আর্টিকলস অব অ্যাসোসিয়েশনের শর্তের পরোয়া করা হয়নি ।
৩১ অগস্ট নির্মাণ সংস্থা শাপুরজি-পালনজির লগ্নি শাখা তথ্যের অধিকার আইনে প্রাক্তন টাটা কর্ণধারের অপসারণ নিয়ে রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজের জবাব জানতে চেয়ে আর্জি দাখিল করেছিল। সাইরাস সেই সংস্থার চেয়ারম্যান পালনজি মিস্ত্রির ছেলে। যাঁদের হাতে টাটা গোষ্ঠীর মূল সংস্থা টাটা সন্সের প্রায় ১৮.৫% মালিকানা। সাইরাসকে ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর টাটা গোষ্ঠীর মূল সংস্থা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়।
এর আগে অন্যায় ভাবে মিস্ত্রিকে সরানোর অভিযোগ উড়িয়েছে টাটারা। তবে তথ্য জানার অধিকারের হাত ধরে যে কথা সামনে এল, সে সম্পর্কে মুখ খুলতে অস্বীকার করেছেন টাটা সন্সের মুখপাত্র। বলেছেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না আমরা।’’
তবে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজের এই মত আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ তা মুম্বইয়েরই জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) সম্পূর্ণ বিপরীত। চলতি বছরের শুরুতে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাদের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন মিস্ত্রি। অভিযোগ করেছিলেন টাটা সন্সে খারাপ পরিচালনা ও ছোট শেয়ারহোল্ডারদের অব়জ্ঞা করা নিয়েও। কিন্তু মিস্ত্রির আর্জি খারিজ করে তারা। খোমানে তাঁর জবাবে আঙুল তুলেছেন ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর যে ইজিএম ডেকে টিসিএস পর্ষদের ডিরেক্টর পদ থেকে মিস্ত্রিকে সরানো হয়েছিল, তার নানা রকম অনিয়মের দিকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy