শেয়ার বাজারে রমরমার সুযোগ নিয়ে বাজার থেকে টাকা তুলতে ঝাঁপাচ্ছে বহু সংস্থা। ফলে দ্রুত বেড়েছে আইপিও-র (বাজারে প্রথম শেয়ার) সংখ্যা। বেশির ভাগই স্টার্ট আপ। যাদের অনেকেরই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল আঁচ করে শেয়ার কিনতে ঝাঁপাচ্ছেন সাধারণ লগ্নিকারী। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার আইপিও-র নিয়মে কিছু কড়াকড়ি আনার প্রস্তাব দিল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, সেবির আচমকা কড়া হওয়ার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। তাদের প্রস্তাবগুলির অন্যতম— বিশেষত স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে আইপিও মারফত টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া। আইপিও-তে মূল বিনিয়োগকারী সংস্থাকে (অ্যাঙ্কর ইনভেস্টর) শেয়ার কেনার পরে অন্তত তিন মাস তা ধরে রাখতে বাধ্য করা (এখন ৩০ দিন)। সেবি সূত্রের দাবি, স্টার্ট আপগুলিকে দাঁড় করাতে সেখানে বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্থা প্রথমে প্রোমোটার হিসাবে পুঁজি ঢালে। পরে অনেক সময় আইপিও মারফত নিজেদের শেয়ার বেচে হাত ধুয়ে ফেলে। সেবির প্রস্তাব, আইপিও-তে প্রোমোটারদের শেয়ার বিক্রির সর্বোচ্চ সীমাও বেঁধে দেওয়া হবে।
এ বছর ইতিমধ্যেই আইপিও-র মাধ্যমে বাজার থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি তুলেছে বিভিন্ন সংস্থা। যা রেকর্ড। অথচ তাদের অনেকেই লোকসানে চলছে। একাংশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। সেবির দাবি, আইপিও-তে সাধারণ লগ্নিকারীদের পুঁজি সুরক্ষিত করা যে জরুরি, সেটা স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy