—প্রতীকী চিত্র।
ডিসেম্বর জুড়ে নতুন নজির গড়েছে শেয়ার বাজার। ৭২,৪১০ অঙ্কে পৌঁছে ২৮ ডিসেম্বর শেষ বার নয়া শিখরে পা রেখেছিল সেনসেক্স। অতি অল্প সময়ে এতটা ওঠায় নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে সংশোধনের বাতাবরণ তৈরি হয়। গত মঙ্গল এবং বুধবার সূচক নামে মোট ৯১৫ পয়েন্ট। তবে তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে টানা দু’দিনে উঠে যায় ৬৭০। সাধারণত বাজার অনেকটা চড়লে বড় পতনের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় অর্থনীতির উপর আস্থা এবং শেয়ারের প্রবল চাহিদার কারণে সেটা হতে পারছে না। মানুষ শেয়ার কিনছেন এই ভেবে যে, এখন না কিনলে অদূর ভবিষ্যতে তা হয়তো আরও উপরে উঠবে।
আগামী শুক্রবার প্রকাশিত হবে খুচরো বাজারে ডিসেম্বরের মূল্যবৃদ্ধির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান। এর প্রভাব পড়বে শেয়ার বাজারে। ওই হার কমলে সুদ ছাঁটাইয়ের দাবি জোরালো হবে। আর তা বাড়লে, সাময়িক ভাবে দুর্বল হতে পারে সূচক। এর পাশাপাশি লগ্নিকারীদের নজর থাকবে আমেরিকার সুদে। তার হার কমলেও ভারতের পক্ষে সদর্থক হবে।
লগ্নিকারীদের অনেকেই মনে করছেন, এ দেশে শেয়ার সূচক আরও অনেক উপরে উঠবে। যে সব কারণে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে—
সব মিলিয়ে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারতের বাজারে এক সদর্থক আবহ তৈরি হয়েছে। ফলে মাঝেমধ্যে ছোট ছোট সংশোধনের সাপেক্ষে বাজার যে আরও উপরে উঠবে, সেই ব্যাপারে আশাবাদী অনেকেই।
যদিও কিছু দুশ্চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। যেগুলি বাজারের মাথাব্যথা বহাল রাখতে পারে। যেমন—
শেয়ার বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়ায় দ্রুত বাড়ছে লগ্নিকারী এবং ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা। বিএসই-তে বর্তমানে নথিবদ্ধ লগ্নিকারী প্রায় ১৫.৫৩ কোটি। নথিবদ্ধ সব শেয়ারের মোট মূল্য ৩৬৯.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে খোলা হয়েছে মোট ৪১.৭৩ লক্ষ ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। দেশে তার মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩.৯৩ কোটি। শেয়ারে নাগাড়ে লগ্নি ঢুকছে মিউচুয়াল ফান্ড থেকেও। ফান্ডের জগতেও লগ্নিকারী বাড়ছে। আশা পূরণের অপেক্ষায় সকলে।
(মতামত ব্যক্তিগত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy