শুক্রবার এক ধাক্কায় ৪১৪.১৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। বাজার বন্ধের সময় তা থিতু হল ২৫৪৮০.৮৪ অঙ্কে।
শেয়ার বাজারের পাশাপাশি টানা পড়ে চলেছে টাকার দামও। ডলারের সাপেক্ষে এ দিন টাকার দর নেমেছে ৬৩ পয়সা। ফলে এক ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১.১৮ টাকা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও টাকা পড়েছিল ৪৯ পয়সা। আর সেনসেক্স নেমেছিল ১৯২ পয়েন্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার এখন যে উচ্চতায় তাতে এ ধরনের সংশোধন বা কারেকশন একেবারেই স্বাভাবিক। তবে তার সঙ্গে এ দিনের পতনে ‘হাত রয়েছে’ দুই দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কেরও।
কারণ এ দিন এক দিকে বাজার আশঙ্কা করেছে যে, অর্থনীতির হাল ফেরায় ফের কর্মসংস্থান বাড়বে মার্কিন মুলুকে। যার দরুন এ বার দ্রুত সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারে মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ। মূলত এই ধারণা থেকেই এ দিন ভারতের বাজারে শেয়ার বেচেছে অনেক বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা।
অন্য দিকে, আগামী মঙ্গলবারই বাজেটের পর প্রথম ঋণনীতি ঘোষণা করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার জন্য এ দিন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখাও করেছেন ভারতীয় শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন। অনেকেই মনে করছেন, সেই ঋণনীতির আগে একটু সাবধানে পা ফেলতে চাইছে বাজার।
ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর পথে হাঁটে কিনা, তা আগামী সপ্তাহের আগে বোঝার উপায় নেই। তবে এ দিন ভারতীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাতে কর্মসংস্থান সম্পর্কে ওই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত জুলাইয়ে ২.০৯ লক্ষ নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে আমেরিকায়। এই নিয়ে টানা ছ’মাস ২ লক্ষের বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হল সেখানে। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম। তবে এই তথ্যে এ দেশের শেয়ার বাজার কী ভাবে সাড়া দেয় তার কিছুটা আঁচ মিলতে পারে সোমবারই।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এ দিন বিভিন্ন শেয়ার সূচকের পতন হয়েছে। আর্জেন্তিনার সরকার ঋণ মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় তা ফের বিশ্ব বাজারে মন্দার আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে। এর জেরে পড়েছে বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজার। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারেও। এ ছাড়া, বার বার রেকর্ড ভাঙা সেনসেক্সে কিছুটা সংশোধনের সম্ভাবনার কথা বেশ কিছু দিন ধরেই বলছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy