টাটা সন্স বনাম সাইরাস মিস্ত্রির আইনি লড়াইয়ে চাপান-উতোর চলছেই।
গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পরে টাটা সন্সের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মিস্ত্রি। আর, আজ মঙ্গলবারই তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি নোটিস জারি করল সংস্থা। অভিযোগ, টাটা সন্সের সঙ্গে গোপনীয়তার শর্ত ভেঙেছেন তিনি। সংস্থার এমন কিছু নথিপত্র খোলাখুলি প্রকাশ করেছেন, যেখানে স্পর্শকাতর তথ্য আছে। সেই তালিকায় রয়েছে পর্ষদের বৈঠকে আলোচনা করা কিছু বিষয়, ব্যবসার কৌশল, যৌথ উদ্যোগ গড়া ইত্যাদি। টাটা সন্সের দাবি, ‘‘ওই সব তথ্য প্রকাশের কোনও দরকারই ছিল না।’’ টাটা সন্স তার আইন সংস্থা শার্দূল অমরচাঁদ মঙ্গলদাস মারফত এই নোটিস জারি করেছে। তবে মিস্ত্রির জনসংযোগ সংস্থা বলেছে, এ প্রসঙ্গে তাদের মন্তব্য করার কিছু নেই। কিন্তু মিস্ত্রি শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ‘‘আইন বাঁচিয়েই সব করেছি। সত্যি কথা জানাতে যারা ভয় পায়, একমাত্র তারাই তথ্য গোপন করতে চায়।’’
গত ২০ ডিসেম্বর জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন মিস্ত্রির পরিবার শাপুরজি-পালোনজির দু’টি সংস্থা সাইরাস ইনভেস্টমেন্টস এবং স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্টস। অভিযোগ ছিল, টাটা গোষ্ঠীতে খারাপ পরিচালনা। আর, টাটা সন্সের আপত্তি মূলত এই মামলার আবেদনের সঙ্গে মিস্ত্রির সংস্থার পক্ষ থেকে দাখিল করা টাটাদের গুচ্ছ গুচ্ছ গোপন নথি নিয়ে। তাঁকে টাটা সন্স থেকে সরানোর বিপক্ষে মামলা ঠুকতে গিয়ে গোষ্ঠীর ব্যবসা সংক্রান্ত যে-সব স্পর্শকাতর তথ্য মিস্ত্রি তাঁর পারিবারিক সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছেন, টাটা সন্সের মতে সেটাই প্রমাণ করছে, তিনি কতটা বেপরোয়া। টাটা সন্সের ডিরেক্টর হিসেবে নিজের কর্তব্য পালনেও মিস্ত্রি ব্যর্থ।
টাটা সন্সের আরও দাবি, এ ধরনের তথ্য যেন মিস্ত্রি আর ফাঁস না-করেন। পাশাপাশি, এই সব অপ্রয়োজনীয় তথ্য মামলার আবেদন থেকে তুলে নিতে বলেছে টাটা সন্স। তাদের দাবি, ‘‘তৃতীয় কোনও পক্ষ গোপন তথ্য প্রকাশের অভিযোগে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। সে ক্ষেত্রে মিস্ত্রিই ওই ধরনের দাবি মেটাতে বাধ্য থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy