ফাইল চিত্র।
রতন টাটা ট্রাস্ট, জেআরডি টাটা ট্রাস্ট এবং দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট— টাটাদের তিনটি ট্রাস্টের করছাড়ের সুবিধা বাতিল করতে চেয়ে সংশোধিত নির্দেশ দিয়েছিল আয়কর দফতর। ট্রাস্টগুলির হাতে টাটা গোষ্ঠীর মূল সংস্থা টাটা সন্সের অংশীদারি থাকাকে যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছিল। সেই নির্দেশকেই অবৈধ তকমা দিয়ে ট্রাস্ট তিনটির করছাড় পাওয়ার যোগ্যতা বহাল রাখল আয়কর আপিল ট্রাইবুনাল।
সেই সঙ্গে সাইরাস মিস্ত্রিকে ভর্ৎসনা করে বলল, তাঁর আচরণ কর্পোরেট দুনিয়াসুলভ তো নয়ই, এমনকি নৈতিকও বলা যাবে না। কারণ ২০০৬ থেকে টাটা সন্সের ডিরেক্টর ও ২০১৩ থেকে চেয়ারম্যান থাকার সময় কর সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি মিস্ত্রি। অথচ চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরানোর পরেই সেই অভিযোগ তুলে টাটাদের অনুমতি না-নিয়েই আয়কর দফতরে নথি পৌঁছে দিলেন। যার ভিত্তিতে দফতর কর রেহাইয়ের যোগ্যতা বাতিলের কথা বলে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে টাটা গোষ্ঠী থেকে বিতাড়িত হন সাইরাস।
টাটার ওই তিনটি ট্রাস্টের হাতে সমবেত ভাবে টাটা সন্সের প্রায় ৬৬% শেয়ার আছে। আয়কর দফতরের হুঁশিয়ারি ছিল, তারা করছাড়ের সুবিধা ভোগ করে, অথচ এত শেয়ারের মালিক। এটা আয়কর আইন লঙ্ঘন। কারণ, দাতব্য ট্রাস্টের শেয়ার লেনদেন করা ও তার থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়া বারণ। এই অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাইবুনালে যায় তিনটি ট্রাস্ট। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই ট্রাইবুনাল মিস্ত্রিকে তিরস্কার করে বলেছে, তাঁর আচরণ ন্যায়-নীতি বহির্ভূত, সন্দেহ-জনক। টাটার ট্রাস্টিদের লক্ষ্য শেয়ারে লগ্নি করা নয়, মানুষের লাভের জন্য গোষ্ঠীর সাফল্য ভাগ করে নেওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy