প্রতীকী ছবি।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পিএনবি) নীরব মোদী, মেহুল চোক্সীর ১৪,০০০ কোটি টাকার প্রতারণা সামনে আসার পরে তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায় এসেছিলেন তাঁরা। এ বার সেই কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই নিয়ম মেনে ব্যাঙ্কের কাজ চালানোয় ব্যর্থতার অভিযোগে পিএনবির দুই এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর, কে ভি ব্রহ্মাজি রাও ও সঞ্জীব শারনকে বরখাস্ত করল কেন্দ্র। বলা হল, তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই এত বিপুল অঙ্কের প্রতারণা ঠেকানো যায়নি।
ঠিক যে ভাবে গত বছর এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল উষা অনন্তসুব্রহ্মণ্যনকে। পিএনবি কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চালানোর ক্ষেত্রে সম্মতিও দিয়েছিল সরকার। এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে যোগ দেওয়ার আগে দু’টি পর্যায়ে পিএনবির এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর এবং এমডি-সিইও ছিলেন অনন্তসুব্রহ্মণ্যন।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাও ও শারনকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে গত ১৮ জানুয়ারিই। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনে কাজ করার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গাফিলতির। যে নিয়মে ব্যাঙ্কের কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশনের সঙ্গে সুইফট ব্যবস্থাকে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অথচ পিএনবির কর্তা হিসেবে তাঁরা তা মানেননি।
উল্লেখ্য, কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশনে ব্যাঙ্কের লেনদেন চলে। আর সুইফটের মাধ্যমে বার্তা যায় এক ব্যাঙ্ক থেকে আর একটিতে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে এই দু’টি যুক্ত না থাকাতেই নীরবের পক্ষে জালিয়াতি করা সহজ হয়েছিল বলে অভিযোগ।
নীরব ও চোক্সীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পিএনবির ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং (এলওইউ) কাজে লাগিয়েই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তাঁরা। যা দেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কটির মুম্বই শাখা থেকে। নীরব মোদী গোষ্ঠী, তাঁর বিভিন্ন সংস্থা ও আত্মীয়দের দেওয়া হয়েছিল মোট ১,২১৩টি এলওইউ। আর চোক্সীর আত্মীয় ও গীতাঞ্জলি গ্রুপকে দেওয়া হয়েছিল ৩৭৭টি। প্রতারণা মামলার চার্জশিটে সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, গোটা ঘটনার কথা জানলেও ব্যাঙ্কের কিছু শীর্ষ কর্তা চোখ বন্ধ করে ছিলেন। চার্জশিটে নাম ছিল উষা, শারন ও রাওয়েরও। গত বছর শারনের বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে তখন চার্জশিটে নাম থাকা রাওয়ের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বার তাঁরা বরখাস্ত হলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy