গাড়ির দূষণের মাত্রা কমিয়ে দেখাতে সফটওয়্যারে কাপচুপির কথা স্বীকার করলেন ফোক্সভাগেনের ইঞ্জিনিয়াররা। তবে ঠিক কত জন এ কথা মেনে নিয়েছেন, সংস্থার অভ্যন্তরীণ তদন্তে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তেমনই জার্মান গাড়ি নির্মাতাটির এই দূষণ কেলেঙ্কারি এবং তার চক্রান্তের মাথা কারা, তা-ও ধরা পড়েনি।
মার্কিন আইনজীবীদের সঙ্গে মিলে কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করেছে ফোক্সভাগেন। সেখানেই ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, ২০০৮ সালেই তাঁরা গাড়িতে ওই সফটওয়্যার বসানোর কাজ করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০০৫-এ ‘ইএ ১৮৯ ইঞ্জিন’ তৈরি করেছিল ফোক্সভাগেন। কিন্তু সেগুলি কোনও ভাবেই দূষণ পরীক্ষায় পাশ করার উপযুক্ত ছিল না। ফলে ইঞ্জিনগুলির ছাড়পত্র জোগাড় করে বিক্রয়যোগ্য করে তুলতে এবং খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারচুপি ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না বলেই তদন্তে কবুল করেছেন ওই ইঞ্জিনিয়াররা।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই সামনে এসেছে ফোক্সভাগেনের দূষণ কেলেঙ্কারি। জানা গিয়েছে, কার্বন নির্গমনের মাত্রা পরীক্ষায় যাতে ধরা না-পড়ে, তার জন্য কারচুপি করেছে সংস্থা। ডিজেল গাড়ি তৈরির সময়েই তাতে বসিয়ে রেখেছে এমন সফটওয়্যার, যাতে তা চলার সময়ে আসলে যা দূষণ হচ্ছে, সেটি কমিয়ে দেখানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy