Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বাছবিচার

বাড়ি না ফ্ল্যাট? শিলং না শিমলা? পাহাড় নাকি সমুদ্র? সারা জীবন প্রতি পদে সংশয়ের যেন শেষ নেই। কিন্তু সঞ্চয়ের সিদ্ধান্তে যেন সেই চেনা শামুকে পা না-কাটে! দিশা দেখালেন অমিতাভ গুহ সরকারবাড়ি না ফ্ল্যাট? শিলং না শিমলা? পাহাড় নাকি সমুদ্র? সারা জীবন প্রতি পদে সংশয়ের যেন শেষ নেই। কিন্তু সঞ্চয়ের সিদ্ধান্তে যেন সেই চেনা শামুকে পা না-কাটে! দিশা দেখালেন অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০০:৩৭
Share: Save:

সামনে দু’টি রাস্তা। বলা ভাল, দুই বিকল্প। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনটিকে বেছে নেব, সে প্রশ্নের উত্তর আমাদের প্রায় প্রত্যেককে খুঁজে চলতে হয় জীবনভর। ঠা ঠা রোদে ঘেমেনেয়ে আইসক্রিম না কি ঠান্ডা সরবত? রেস্তরাঁয় বন্ধুদের সঙ্গে চাইনিজ না কন্টিনেন্টাল? এমন ছোটখাটো বাছাই থেকে শুরু করে সেডান না কি এসইউভি, ডাক্তারি না ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বড় সিদ্ধান্তও।

যেখানে যত বেশি বিকল্প, সেখানে তত বেশি সম্ভাবনা গুলিয়ে যাওয়ার। খোঁজ একটাই, কোনটা সবচেয়ে ভাল? হলপ করে বলতে পারি, এর ব্যতিক্রম নয় লগ্নি-সঞ্চয়ের দুনিয়াও। বরং অন্যান্য অনেক কিছুর তুলনায় সংশয়ের সমস্যা এখানে খানিকটা বেশিই।

কারণ, প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে লগ্নির জগৎ। হাজারটা প্রকল্প থিকথিক করছে চারপাশে। অন্য দিকে, আমাদের রোজগার সীমিত। চাহিদা অঢেল। আশা সীমাহীন। সঙ্গে মনের কোণে বাসা বেঁধে রয়েছে আশঙ্কাও। অজানা ভবিষ্যতের, স্বাচ্ছন্দ্য খোয়ানোর, রোগভোগের। কখন কী প্রয়োজন পড়বে কে জানে!

কিন্তু তা বলে তো সব কিছু গুলিয়ে ফেললে চলবে না। চিন্তাটা করতে হবে একেবারে স্পষ্ট ভাবে। যুক্তির ভিত্তিতে। দু’পক্ষেরই সুবিধা-অসুবিধা মনের মধ্যে পরিষ্কার ভাবে সাজিয়ে নিয়ে। আর তার জন্য সবার আগে কাটিয়ে ফেলতে হবে যাবতীয় সংশয়। শুনতে হয়তো কঠিন লাগছে। কিন্তু আদপেও তা নয়। আসুন না একসঙ্গে একটু চেষ্টা করি।

দাঁড়িপাল্লা

সঞ্চয় নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দেখেছি, তাকে ঘিরে ধোঁয়াশা অনেক। প্রশ্ন অঢেল। তার সব তো এই স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। তাই এখানে আমরা জোড়ায়-জোড়ায় বেছে নিয়েছি এমন কিছু বিষয়কে, যার মধ্যে তুলনা টেনে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে গিয়ে প্রায়শই খাবি খাই আমরা। অথচ এর প্রত্যেকটিই কিন্তু আমাদের খুব পরিচিত। তাই আশা করি, এ লেখার পুরোটায় এক বার চোখ বোলানোর পরে এ বিষয়ে কিছুটা সুবিধাই হবে আপনাদের।

ডিভিডেন্ড না গ্রোথ

মিউচুয়াল ফান্ডে পুঁজি ঢালার সময়ে এই প্রশ্ন বরাবর লগ্নিকারীদের মনে উঁকি দেয়। এখন তা আরও বেশি দিচ্ছে এ বার বাজেটে ইকুইটি (শেয়ার) ভিত্তিক ফান্ড প্রকল্পের ডিভিডেন্ডে ১০ শতাংশ কর বসায়।

যাঁদের নিয়মিত আয়ের তেমন প্রয়োজন নেই, তাঁরা কর এড়াতে গ্রোথ বা বৃদ্ধির বিকল্প বেছে নিতে পারেন। এখানেও কিন্তু কর আছে লাভের উপর। এক বছর ইউনিট ধরে রাখার পরে বিক্রি করে লাভ হলে, তার উপর ধার্য হবে ১০ শতাংশ মূলধনী লাভ কর। কিন্তু সব রকম ইকুইটি ফান্ড এবং শেয়ার মিলিয়ে বছরে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনী লাভ থাকবে করমুক্ত। অর্থাৎ মূলধনী লাভ ১ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকলে কোনও কর দিতে হবে না। এই কথা মাথায় রেখে ডিভিডেন্ড থেকে গ্রোথ বিকল্পে সরে আসাই যায়। কারণ, একটু বড় মেয়াদে গ্রোথ বিকল্পে সাধারণত লাভ একটু বেশিই হয়।

এ তো গেল ইকুইটি ফান্ডের কথা। ডেট ফান্ডের (ঋণপত্র ভিত্তিক) ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড বিকল্পে টিক দিলে কিন্তু ডাহা লোকসান। কারণ, এখানে ডিভিডেন্ডের উপর কর বসে ২৮.৮৪ শতাংশ। ফলে হাতে পাবেন অনেক কম। অন্য দিকে, ঋণপত্র ভিত্তিক ফান্ডের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বিকল্প বেছে নিলে ইউনিট তিন বছর ধরে রাখার পরে বিক্রি করে লাভ হলে, তার উপরে পাওয়া যায় মূল্যবৃদ্ধি সূচক প্রয়োগের সুবিধা। সহজ করে বললে, মূল্যবৃদ্ধির হার বাদ দিয়ে লাভের অঙ্ক কষে তবে এতে কর বসে।

ফলে সে ক্ষেত্রে হিসেবে লাভের অঙ্ক কমে যায় এবং তার উপর কর দিতে হয় ২০ শতাংশ। তাই তার অঙ্ক কমে। অর্থাৎ, নিয়মিত আয়ের দরকার না থাকলে উভয় ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি বিকল্প বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভাল, যে সব প্রকল্পে ৬৫ শতাংশ বা তার বেশি ইকুইটিতে লগ্নি করা হয়, তা করের দৃষ্টিকোণ থেকে ইকুইটি ফান্ড বলেই বিবেচিত হয়।

শেয়ারে না ফান্ডে

ব্যাঙ্ক, ডাকঘরের বাইরে লগ্নির দুনিয়ায় পা রেখে, অনেকেই ধন্দে পড়েন সরাসরি শেয়ার বাজারে টাকা ঢালবেন না কি মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ইকুইটিতে? দু’দিকেরই ভাল-মন্দ আছে। তা হল—

শেয়ারকে সাধারণত ফেলা হয় সেরা সম্পদের শ্রেণিতে (অ্যাসেট ক্লাস)। কারণ, ভাল শেয়ার থেকে যে হারে রিটার্ন পাওয়া যায়, অন্য কোনও লগ্নিই তা দিতে পারে না।

কিন্তু তেমনই একই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, ঝুঁকির নিরিখেও শেয়ারের জায়গা একেবারে উপরের দিকে।

শেয়ারে লগ্নি করার চার

প্রাথমিক শর্ত—

(১) ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা।

(২) শেয়ার সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান।

(৩) বাজারের চালচলন সম্পর্কে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা।

(৪) চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকার করার ক্ষমতা।

এই ক’টি শর্ত মানতে পারলে শেয়ার বাজারে লগ্নি করা যেতেই পারে। পরিকল্পনামতো ঝুঁকি নিয়ে লম্বা মেয়াদে সঠিক শেয়ারে লগ্নি করে মোটা সম্পদ তৈরিতে সফল

হয়েছেন বহু মানুষ।

কিন্তু শেয়ারে লগ্নির এই শর্তগুলি যাঁরা মানতে পারবেন না, তাঁদের মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এর বৈশিষ্ট্য হল—

শেয়ারের তুলনায় ফান্ডে ঝুঁকি অনেক কম। কারণ, এমনকী ইকুইটি ফান্ডের তহবিলও লগ্নি করা হয় বিভিন্ন শেয়ারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। আর সব সংস্থা বা সব শিল্প সাধারণত এক সঙ্গে খারাপ করে না।

ফান্ড পরিচালনা করেন দক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত পেশাদার পরিচালকেরা। এই কারণে একটু বড় মেয়াদে অনেক ইকুইটি ফান্ডকেই ভাল রিটার্ন দিতে দেখা যায়।

তবে ঝুঁকি মিউচুয়াল ফান্ডেও বিলক্ষণ আছে। শেয়ারে লগ্নির তুলনায় হয়তো তা কিছুটা কম। সে কথা মাথায় রেখে নিয়মিত ফান্ডের ন্যাভে নজর রাখা ভাল।

সেভিংস না লিকুইড ফান্ড

আমাদের সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনেক সময়েই মোটা টাকা পড়ে থাকে। অধিকাংশ ব্যাঙ্ক এই জমার উপরে সুদ দেয় মাত্র ৩.৫ শতাংশ। কিন্তু এর একটি বিকল্প হয়তো অনেকেরই জানা নেই। তা হল লিকুইড ফান্ড।

এই মিউচুয়াল ফান্ডটি সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতোই ছোট মেয়াদে টাকা রাখার জন্য ভাল জায়গা। বর্তমান বাজারে সেখানে রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে ৫.৫ থেকে ৬ শতাংশ। তহবিল খুব ছোট মেয়াদে লগ্নি করা হয় বলে ঝুঁকি বেশ কম। টাকাও তুলে নেওয়া যায় যখন-তখন। লিকুইড ফান্ড থেকে প্রাপ্ত রিটার্ন অবশ্য করযোগ্য। সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদ কমে আসার পরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লিকুইড ফান্ড। বছরখানেক আগে এই ফান্ড থেকে ৭/৮ শতাংশও রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে।

তবে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সুদ দিচ্ছে ৫ থেকে ৭ শতাংশ। যাঁদের ফান্ডে লগ্নি পছন্দ নয়, তাঁরা এই সব ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার কথা ভাবতে পারেন।

ফান্ড না ইউলিপ

ফান্ড আর ইউলিপ (বাজারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিমা প্রকল্প) নিয়ে ধন্দে পড়তে দেখা যায় খুব বেশি। কারণ, উভয় ক্ষেত্রেই তহবিল লগ্নি করা হয় শেয়ার এবং ঋণপত্রে। অর্থাৎ, ঝুঁকি অনেকটা একই রকম।

তবে ইউলিপের ক্ষেত্রে বিমা জড়িয়ে থাকে বলে খরচ একটু বেশি। ফলে রিটার্নের দিক থেকে সাধারণত ফান্ড একটু এগিয়ে। ইএলএসএস (ইউনিট লিঙ্কড সেভিংস স্কিম) প্রকল্প ছাড়া ফান্ডে ‘লক ইন’ (যে মেয়াদে ফান্ড বাধ্যতামূলক ভাবে ধরে রাখতে হবে। বিক্রি করা যাবে না) এক রকম নেই বললেই চলে। ইউলিপের ক্ষেত্রে টাকা আটকে থাকে কমপক্ষে ৫ বছর। প্রথম কয়েক বছর অনেকটা টাকা কেটে নেওয়া হয় বলে ইউলিপে লাভের দেখা মেলে একটু বড় মেয়াদে।

করের দিক থেকে অবশ্য ইউলিপ এগিয়ে। মেয়াদ শেষে যা পাওয়া যায়, তা পুরোপুরি করমুক্ত। অন্য দিকে, ইকুইটি ফান্ডে দীর্ঘকালীন লাভের উপর এ বার বাজেটে বসেছে ১০ শতাংশ কর।

সাশ্রয়ী সঞ্চয় না কর দেওয়া

কিছু প্রকল্পে সঞ্চয় করলে, আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর বাঁচে। কিন্তু তেমনই টাকাটা আটকে যায় নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য। অর্থাৎ, এই সময়ের মধ্যে ওই টাকা আর ব্যবহার করা যায় না। ফলে টাকা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনে ধার করতে হতে পারে। এই কারণে প্রশ্ন উঠতে পারে, সব সময় করসাশ্রয়ী প্রকল্পেই সঞ্চয় করা ভাল নাকি কর দিয়ে বাকি টাকা নিজের কাজে লাগানো বুদ্ধিমানের কাজ?

একটি উদাহরণ দেওয়া যাক— মনে করুন, এক জন করদাতার আয় ৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে প্রথম ২.৫ লক্ষ টাকা করমুক্ত। বাকি ২.৫ লক্ষ টাকার উপরে ৫ শতাংশ হারে কর পড়বে ১২,৫০০ টাকা। ৮০সি ধারায় কর সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সঞ্চয় করা যায় সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা। এতটা লগ্নি করলে ৫ শতাংশ হারে কর বাঁচবে মাত্র ৭,৫০০ টাকা। অর্থাৎ এই ৭,৫০০ টাকা বাঁচাতে আপনার ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য আটকে যাবে ১.৫ লক্ষ টাকা।

এই পরিস্থিতিতে অনেকেই হয়তো ভাববেন, কর বাঁচিয়ে কাজ নেই। ৭,৫০০ টাকা কর দিয়ে বরং বাকি ১,৪২,৫০০ টাকা ভোগ করা যাক বা তা ঢালা যায় বেশি রিটার্নের প্রকল্পে।

কিন্তু আবার মনে করুন, যাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করের হার ২০ অথবা ৩০ শতাংশ, তাঁদের ক্ষেত্রে এই যুক্তি খাটে না। ১.৫ লক্ষ টাকা লগ্নিতে এঁদের সাশ্রয় হতে পারে যথাক্রমে ৩১,২০০ ও ৪৬,৮০০ টাকা (স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস সমেত)। আয় বেশি হওয়ার কারণে এঁদের লগ্নির সামর্থ্যও বেশি। অর্থাৎ, কে কেমন হারে কর গুনছেন, তার উপরেই নির্ভর করবে কর দেবেন না কি তা বাঁচানোর জন্য ঝাঁপাবেন, সেই সিদ্ধান্ত।

পিপিএফ না ইএলএসএস

কর সাশ্রয়ের জন্য কোথায় লগ্নি করবেন? পিপিএফ না মিউচুয়াল ফান্ডের ইকুইটি ভিত্তিক ফান্ড বা ইএলএসএসে? দু’টি ক্ষেত্রেরই সুবিধা-অসুবিধা দেখে নেওয়া যাক।

তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাবে, যাঁরা ঝুঁকি বিমুখ, তাঁদের জন্য পিপিএফ আদর্শ লগ্নির জায়গা। সুদ অনেকটা কমার পরেও বর্তমান করমুক্ত হার যথেষ্ট আকর্ষণীয়। অন্য দিকে, যাঁরা একটু ঝুঁকি নিতে পিছপা নন অথবা তিন বছর পরে লগ্নি করা টাকা ফেরত নিয়ে আবার লগ্নি করতে চান, তাঁদের জন্য ইএলএসএস ভাল লগ্নির জায়গা। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, এই ধরনের কোনও কোনও প্রকল্প গড়ে বছরে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিয়েছে।

ডেবিট বনাম ক্রেডিট কার্ড

বাজারে জিনিস কিনতে গিয়ে অনেক সময়ই আমরা ভয়ানক ধন্দে পড়ে যাই কোন কার্ড ব্যবহার করব তা নিয়ে। ডেবিট না ক্রেডিট কার্ড। সেভিংস অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালান্স না থাকলে, কোনও উপায় থাকে না। তখন ক্রেডিট কার্ডই ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু দু’টিতেই ব্যালান্স থাকলে, প্রথমে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কথা ভাবা যেতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার অর্থ, ধারে পণ্য অথবা পরিষেবা কেনা। ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদে পণ্য কেনা যায় এই কার্ড ব্যবহার করে। তবে সময়মতো শোধ না করলে সুদ দিতে হয় বেশ চড়া হারে। এমনকী ভবিষ্যতে সুদের ফাঁদে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অন্য দিকে, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে টাকা তখনই বেরিয়ে যায় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। পরে টাকা শোধের ঝক্কি থাকে না ঠিকই। তবে সুদের দিক থেকে লোকসান হয়। অ্যাকাউন্টে বেশি টাকা পড়ে থাকলে এই কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়েরও।

তাই যে অ্যাকাউন্টে কম টাকা থাকে, তার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যাঁদের জিনিস কেনার ব্যাপারে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ কম, তাঁদের পক্ষে ক্রেডিট কার্ড কম ব্যবহার করাই ভাল। না হলে দেনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। গুনতে হতে পারে চড়া হারে সুদ। দেরিতে শোধের মাসুল হিসেবে। তাই খরচের আগে নিজেকে একবার আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে নেওয়া ভাল।

লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ (মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Way of saving Saving
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE