প্রতীকী ছবি।
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে চার্জিং স্টেশন গড়ার পরিকল্পনা চলছে। ওই স্টেশনগুলিতে ব্যাটারি চার্জ দিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মাসুল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। শীঘ্রই এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট মাসুল নীতি ঘোষণা করা হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যে বণ্টন সংস্থাগুলির সঙ্গে মাসুল নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। কোনও রাজ্যই এখনও পর্যন্ত চার্জিং স্টেশনের মাসুল নীতি ঘোষণা করেনি।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, চার্জিং স্টেশনের মাসুল সাধারণ হবে, নাকি বাণিজ্যিক হিসেবে ধরা হবে, তা কমিশন যত দ্রুত সম্ভব জানাবে। অনেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাড়িতেও চার্জ দেবেন। সে ক্ষেত্রে মাসুল কী হবে তা-ও নির্দিষ্ট করা দরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে এই ধরনের বিষয় নিয়ে একটি প্রস্তাব কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, সিইএসসি এবং অন্য সংস্থাগুলিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিংয়ের মাসুল নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় ডেকেছিল বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। আলোচনা হয়েছে কমিশনের রাজ্যস্তরে যে পরামর্শদাতা কমিটি রয়েছে তার সদস্যদের সঙ্গেও। বিদ্যুৎ দফতরের বক্তব্য, মাসুল ঠিক না হলে চার্জিং স্টেশন গড়ার খরচ নিয়েও কিছু বিভ্রান্তি থেকে যাচ্ছে। মাসুল বেশি হলে পরিবহণ খরচ বাড়বে। আবার কম হলে, চার্জিং স্টেশনগুলি চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে স্টেশন গড়া, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষেবা ও অন্যান্য খরচ ধরেই ইউনিট পিছু মাসুল ঠিক করতে চাইছে কমিশন।
কলকাতায় সিইএসসি-র পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে ২৫-৩০ কিলোমিটার অন্তর চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। এ বিষয়ে একটি পরামর্শদাতা সংস্থাকেও নিয়োগ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, কোথায়, কখন ব্যাটারি চার্জ দেওয়া যাবে সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাতে নতুন একটি অ্যাপ চালু করার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। ওই অ্যাপটির মাধ্যমে চার্জ দেওয়ার বিল মেটানোর ব্যবস্থাও থাকবে। কিন্তু মাসুল এখনও ঠিক না-হওয়ায় অনেক কাজই ধীর গতিতে চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy