মনমাতানো: হোম স্টে পর্যটনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও।
খরচ করে হোম স্টে-তে একটু অন্য ভাবে ছুটি কাটাতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন অনেকেই। ঘরে পৌঁছে মেলেনি ন্যূনতম পরিষেবা। কিংবা বাড়তি কড়ি গুনেও দেখেছেন, রয়েছে শুধু সেই ন্যূনতম সুবিধাটুকুই। সেই সমস্যা থেকে মুক্ত নয় এ রাজ্যও, বলছেন প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষ আমলা। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তির উন্নতির লক্ষ্যে পর্যটন শিল্পকে সঙ্গে নিয়ে তাই বিভিন্ন ধরনের পরিষেবার একটা সার্বিক মাপকাঠি স্থির করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলে পর্যটনের প্রসারে বণিকসভা সিআইআইয়ের বার্ষিক সম্মেলন ‘ডেস্টিনেশন ইস্ট’-এ সম্প্রতি পরিষেবার ওই মাপকাঠির কথা তোলেন রাজ্যের পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, রাজ্যের কাছে এটা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কারণ পর্যটকেরা দাম দিয়েও সঠিক পরিষেবা না পেলে তার প্রভাব পড়ে গোটা পর্যটন ক্ষেত্রে।
তাঁর সঙ্গে সহমত ইনবাউন্ড টুর অপারেটর্সের প্রেসিডেন্ট শুদ্ধব্রত দেব। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলছেন, কাশ্মীরের ডাল লেকের হাউসবো়টে পরিষেবা অনুযায়ী মাপকাঠি হওয়ার কথা। তাঁর অবশ্য দাবি, শিল্পমহল নিজের স্বার্থেই এমন ব্যবস্থা কিছুটা হলেও চালু করেছে।
অত্রিবাবু জানাচ্ছেন, গোড়ায় হোম স্টেগুলির ক্ষেত্রে ওই মাপকাঠি স্থির করা হবে। তার পরে অন্যান্য ক্ষেত্রেও তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু রাজ্য কি এ ভাবে কোনও মাপকাঠি বেঁধে দিতে পারে? সরাসরি নয়, তা মানছেন পর্যটন সচিব। এটিকে খানিকটা উপদেষমূলক নির্দেশিকা (অ্যাডভাইসরি) বলতে চাইছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে যারা এটি মেনে চলবে, বাজারে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে, দাবি তাঁর। যা তাদের উৎসাহ দেবে পরিষেবার মান বজায় রাখতে।
যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পর্যটকদের মতামত পেতে হোটেল, হোম স্টে, রেস্তোরাঁ, টুর অপারেটর, ট্রান্সপোর্ট অপারেটর ও গাইড, এই ছ’টি ক্ষেত্রে ‘রেটিং’ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করছে রাজ্য। সেই রেটিং অনুযায়ী রাজ্য সরকার একটি সার্বিক তথ্যপঞ্জি তৈরি করবে। যাঁদের সেখানে ঠাঁই মিলবে, পর্যটন ব্যবসায় বা পর্যটকদের কাছে তাঁদের গ্রহযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করছে রাজ্য।
বিভিন্ন ধরনের পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে এখন ঐতিহ্যশালী জমিদার বাড়িও জনপ্রিয় হচ্ছে। সেই চাহিদাকে কাজে লাগাতে এ ধরনের সফরে উৎসাহ দিতে চাইছে রাজ্য। তবে অত্রির আক্ষেপ, পর্যটনে প্রভূত সম্ভাবনা থাকলেও তা তেমন প্রচার পায়নি। প্রথম বার কলকাতায় এসে পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধি আয়ারল্যান্ডের শেন রিন্যান ও ইতালির অ্যানা গ্রাভিৎস্কায়া জানালেন, কলকাতা ও দার্জিলিং বাদে পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে আর কিছুই জানা নেই। তবুও তাঁদের আশা, পর্যটনের নতুন সম্ভাবনার হদিস মিলবে এ রাজ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy