মিলিয়ে দেখুন, উল্টো ছবি।
পুরনো একশো টাকার নোট থাকলে এখনই নতুনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন। খেয়াল করুন পুরনো আর নতুন নোটে গাঁধীজির ছবির মধ্যে ফারাক রয়েছে। পুরনো নোটে গাঁধীজি ডান দিকে তাকিয়ে আর নতুন নোটে বাঁদিকে। কিন্তু কোনটা ঠিক! গাঁধীজির মূল ছবিটা কেমন ছিল!
যেি ছবি থেকে গাঁধীজির মুখ টাকায় ছাপা হয় বলে জানা যায় সেটিতে আসলে মোহনদাস তাকিয়ে ছিলেন বাঁ দিকে। তাঁর পাশে ছিলেন ব্রিটিশ রাজনীতিক লর্ড ফ্রেডরিক উইলিয়াম পেথিক লরেন্স। ব্রিটেনে মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবিতে যে আন্দোলন হয় তাতে ফ্রেডরিকের বড় ভূমিকা ছিল। পরে তিনি ভারত এবং মায়ানমার (তৎকালীন বর্মা)-এর বিদেশ সচিব ছিলেন। এই ছবিটি কে তুলেছিলেন তা জানা না গেলেও এটি দিল্লিতে তোলা হয়েছিল স্বাধীনতার ঠিক আগের বছর, ১৯৪৬ সালে। দিল্লিতে ভাইসরয় হাউসে (বর্তমান রাষ্ট্রপতি ভবন) গাঁধীজির সঙ্গে ফ্রেডরিক এই ছবিটি তোলেন।
স্বাধীন ভারতে প্রথম দিকের নোটে অবশ্য গাঁধীজির ছবি ছিল না। ১৯৮৭ সালে প্রথম পাঁচশো টাকার নোটে গাঁধীজির ছবি ছাপা হয়। সেই সময়েই ফ্রেডরিকের সঙ্গে গাঁধীজির ছবি থেকে মুখটি নেওয়া হয় এবং নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে উল্টো করে ছবিটি ছাপা হয়। এর পরে ১৯৯৬ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ‘মহাত্মা গাঁধী সিরিজ’ প্রকাশ করে। তখনই পাঁচ, দশ, কুড়ি, পঞ্চাশ, একশো, পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোটে গাঁধীজির ওই উল্টো মুখের ছবি ছাপা শুরু হয়।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারতে নোটবাতিলের পরে যে সব টাকা ছাপা হয় তাতে অবশ্য গাঁধীজির ছবি সোজাই রয়েছে। এখন নতুন দশ, কুড়ি, পঞ্চাশ, একশো, দুশো, পাঁচশো এবং দু’হাজার টাকার নোটে গাঁধীজির সোজা মুখের ছবিই দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy