Advertisement
১৮ মে ২০২৪
industry

Industry: সংস্কার জরুরি মানলেও, শিল্প চায় ভারসাম্য

সাত সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি বিল তিনটি বাতিল করতেই প্রশ্ন উঠেছিল, এতে শিল্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২১ ০৫:২৭
Share: Save:

সাত সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি বিল তিনটি বাতিল করতেই প্রশ্ন উঠেছিল, এতে শিল্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে? সংস্কার আটকে যাওয়ায় ঠিক কতটা উদ্বিগ্ন হবে তারা? উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে মত জানানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক বেশির ভাগই। একাংশ মুখে কুলুপ এঁটেছে। অন্য অংশ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা মেনেও তাদের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই সংস্কারের পথে এগোনো ভাল। তাতে ব্যবসার পরিবেশে ভারসাম্য আসে। শিল্পের কাজ করতে সুবিধা হয়। না-হলে পরে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। জিএসটি যার জ্বলন্ত উদাহরণ।

ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের অভাবের কথা আগেও বহু বার বলেছে শিল্প মহল। এই আক্ষেপও শোনা গিয়েছে, সংস্কারের ঘাটতিতেই এখনও কৃষি পণ্যের মাত্র ১০% প্রক্রিয়াকরণ হয়। কেন্দ্রের দাবি ছিল, নতুন আইনে সেই রথটাই এগোবে। চাষির লাভ হবে। তাঁরা আরও সহজে বাজারের নাগাল পাবেন। উল্টো দিকে, বিশেষ করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কাছে আরও সহজলভ্য হবে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল। সিআইআই, ফিকি-র মতো বিভিন্ন বণিকসভাও সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছে। তবে এ দিন তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কৃষক ও বিরোধীদের পাল্টা দাবি, আখেরে শিল্প মহলের কায়েমি স্বার্থ রক্ষাই ছিল ওই বিলগুলির মূল লক্ষ্য।

বিল বাতিলের জেরে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সংস্কারের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভারত চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রমেশ কুমার সারাওগি। বস্তুত, করোনাকালে কৃষি পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভবিষ্যতে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পের (যেমন, আর্থিক সুবিধা নির্ভর উৎপাদন নীতি) পুরো সুবিধা পেতে কৃষিতে এমন আরও সংস্কারের কথা বলেছিল শিল্প। সারাওগির ধারণা, এ বার তাতে কিছুটা ধাক্কা লাগতে পারে। তবে একই সঙ্গে তিনি বলছেন, যে কোনও নতুন ব্যবস্থা রূপায়নের আগে সব পক্ষের সঙ্গে ভাল করে আলোচনা করা জরুরি। না-হলে জিএসটি-র মতো অবস্থা হবে। চালু হওয়ার পরে এই করের হার এবং কাঠামোয় এত বার সংশোধন হয়েছে যে, কাহিল হয়েছে ছোট শিল্পের অবস্থা।

আলোচনার মাধ্যমে এগোনোর কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বিকাশ আগরওয়াল এবং পিএইচডি চেম্বারের প্রেসিডেন্ট প্রদীপ মুলতানিও। বিকাশের মতে, উৎপাদনশীলতা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, নতুন প্রযুক্তি ও বাজারের সঙ্গে সংযোগ— এ সব নিয়ে আগে থেকে কথা বলে তার পরে পদক্ষেপ করা উচিত। আর প্রদীপ মনে করছেন, কৃষকদের সমস্যা বুঝতে কমিটি গঠন ঠিক সিদ্ধান্ত। তাঁদের আয় বাড়াতে সঠিক নীতি রূপায়ণের জন্য সরকারকে তা সাহায্য করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

industry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE