ফাইল চিত্র।
রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের (আর-কম) স্পেকট্রাম ব্যবহার করলেও রিলায়্যান্স জিয়োকে কেন সরকারের কাছে আর-কমের বকেয়া (স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ) মেটাতে বলা হবে না, সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কেন্দ্র আদালতে জানাল, দেউলিয়া আইনের আওতায় থাকা সংস্থা আর-কমের স্পেকট্রাম বিক্রি করা নিয়ে দুই মন্ত্রকের (টেলিকম বা ডট এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক) মতভেদ রয়েছে। শীর্ষ আদালত এ নিয়ে কেন্দ্রকে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে। মঙ্গলবার ফের শুনানি।
ডটের হিসেব মেনে টেলিকম সংস্থাগুলির আয়ের ভিত্তিতে স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া মেটানোর নির্দেশ গত বছরই দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ভোডাফোন আইডিয়া, এয়ারটেল, টাটা টেলি সার্ভিসেস দীর্ঘ কিস্তিতে তা মেটানোর আবেদন করেছে। সেই মামলার সঙ্গেই দেউলিয়া হওয়া সংস্থাগুলির বকেয়া নিয়েও শুনানি চলছে।
জিয়োর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে আজ বিচারপতি অরুণ মিশ্র, এস আব্দুল নাজির এবং এম আর শাহর বেঞ্চকে জানান, আর-কমের স্পেকট্রাম জিয়ো কেনেনি। আর-কমের দেউলিয়া প্রক্রিয়াতেও তারা যুক্ত নয়। তবে কেন্দ্র ও ডটের পক্ষে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার দাবি, কর্পোরেট মন্ত্রকের মতে দেউলিয়া প্রক্রিয়ায় সম্পদের সর্বাধিক দাম আদায়ের লক্ষ্যে স্পেকট্রাম বিক্রি করা যায়। কিন্তু ডট মনে করে এটি দেউলিয়া আইনের বিচার্যই নয়। স্পেকট্রাম হস্তান্তরযোগ্য নয়। দেউলিয়া আইনের প্রক্রিয়ায় তা বিক্রি করা যায় না। কারণ, এটি জনগণের সম্পত্তি, সরকার যার ট্রাস্টি। একটি চুক্তির ভিত্তিতে তা টেলিকম সংস্থাকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। বকেয়া না দিলে কেন আর-কমের স্পেকট্রাম ফিরিয়ে নেওয়া হবে না, কেন্দ্র গত বছর তা জানতে চেয়েছিল। তাঁর দাবি, স্পেকট্রাম ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীকে বকেয়া দিতেই হবে।
সর্বোচ্চ আদালত আর-কমের বকেয়ার বিস্তারিত তথ্য কালকের মধ্যে জমা দিতে বলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy