সাধারণ ভাবে সব ভারতীয় কেন ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাতিল নোট বদল করতে পারবেন না, সে ব্যাপারে জবাব দিতে অস্বীকার করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
গত ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করার সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত নোট বদলের সুযোগ দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু পরে জানানো হয়, শুধু অনাবাসী ভারতীয়রাই নোট বদল করতে পারবেন। অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, যাঁরা নোট বাতিলের সময়ে বিদেশে ছিলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্তব্যরত সেনা-কর্মী এবং যাঁরা নোট জমা দিতে না-পারার বৈধ কারণ দেখাতে পারবেন, শুধু তাঁরাই ৩১ মার্চ পর্যন্ত নোট বদল করতে পারবেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই তথ্যের অধিকার আইনে অনেকে কারণ জানতে
চেয়ে আবেদন করেছিলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে। সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসার সুমন রায়ের তরফে জবাব, ‘‘ওই সব প্রশ্নে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, তা তথ্যের অধিকার আইনের ২(এফ) ধারার সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘তথ্য’ হিসেবে গণ্য করা যাবে না।’’ আরবিআইয়ের নথিতে নোট বদলের সময়সীমা কমানোর কী কারণ দেখানো হয়েছে, তা-ও আবেদনকারী প্রশ্ন করেন। উত্তরে শীর্ষ ব্যাঙ্ক শুধু জানিয়েছে, এ ধরনের নথি প্রকাশ করা দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিরোধী। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টেও এই সংক্রান্ত শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগী জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথার চেয়েও এখানে গুরুত্বপূর্ণ আইন।
প্রভাব খতিয়ে দেখবে সিএজি: ভারতের কন্ট্রোলার ও অডিটর জেনারেল (সিএজি) জানিয়েছেন, নোট নাকচের প্রভাব এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর রাজস্বের তাতে কতটা হেরফের হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সিএজি শশীকান্ত শর্মা জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা অডিট করে দেখছেন। নোট ছাপার খরচও আওতায় আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy