Advertisement
১৭ জুন ২০২৪
বন্ধ হতে পারে আরও মিল

বরাতের অভাবে কর্মহীন রাজ্যে ১ লক্ষ চটকল-কর্মী

বরাতের অভাবে ১ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক কাজ ছাড়া বসে আছেন রাজ্যের চটকলগুলিতে। অবস্থার উন্নতি না-হলে রাজ্যে আরও চটকল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা মালিকপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইজেএমএ)। বরাতের অভাবে ১ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক কাজ ছাড়া বসে আছেন রাজ্যের চটকলগুলিতে। অবস্থার উন্নতি না-হলে রাজ্যে আরও চটকল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা মালিকপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইজেএমএ)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৯
Share: Save:

বরাতের অভাবে ১ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক কাজ ছাড়া বসে আছেন রাজ্যের চটকলগুলিতে। অবস্থার উন্নতি না-হলে রাজ্যে আরও চটকল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা মালিকপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইজেএমএ)।

খাদ্যশস্য এবং চিনি প্যাকেজিং-এ কেন্দ্র চটের বস্তার বাধ্যতামবলক ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার ফলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আই জে এম এ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত। তিনি বলেন, “বরাত কমে যাওয়ায় আমরা ৩৫% উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছি। এর ফলে পাট শিল্পে সাড়ে তিন লক্ষ বদলি শ্রমিকের মধ্যে ১ লক্ষেরও বেশিকে কাজ দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থা চললে রাজ্যের বেশ কিছু চটকল মালিক মিল বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।”

সম্প্রতি জুট প্যাকেজিং অর্ডার আইন অনুযায়ী খাদ্যশস্য এবং চিনির মোড়কের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে চটের বস্তার ব্যবহার সংক্রান্ত যে-নির্দেশ কেন্দ্র প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে ৯০% ও চিনি প্যাকেজিং-এ বস্তার ব্যবহার ২০% করতে হবে। রাঘবেন্দ্রবাবু বলেন, আমরা ওই দুই পণ্যে ১০০% চটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছিলাম। কেন্দ্র কান দেয়নি।”

চটের বস্তার ব্যবহার আরও ছাঁটতে কেন্দ্র উদ্যোগী হয়েছে বলে অভিযোগ রাঘবেন্দ্রবাবুর। তিনি বলেন, “খবর পেয়েছি চটের বস্তার সরবরাহ সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে বছরে ২৫.৯১ লক্ষ গাঁট (বেল)-এ সীমাবদ্ধ বাখার ব্যবস্থা করতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি।” রাজ্যের চটকলগুলির উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ লক্ষ বেল বস্তা।

এ দিকে পশ্চিমবঙ্গে পাটনীতি প্রণয়ন করার দাবি ফের জানিয়েছে আইজেএমএ। রাঘবেন্দ্রবাবু অভিযোগ করেন, “রাজ্যে লেভি ও খোলা বাজারের চাল এবং আলু প্যাকেজিং-এ ৩ লক্ষ ৭০ হাজার বেল বস্তার প্রয়োজন। কিন্তু ওই সব পণ্যের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে চটের বস্তা ব্যবহার করার কোনও আইন রাজ্যে নেই। আমরা রাজ্যে এই আইন চালু করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে অনেক আগেই আর্জি জানিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও ফল হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jute mill ijma
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE