এক দিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্ণধার এবং পরিচালন পর্ষদের সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশ। অন্য দিকে, তহবিল জোগাড় কিংবা সংযুক্তি, অধিগ্রহণের মতো বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে বুদ্ধি জোগানো। মূলত এই দুই দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে শীঘ্রই রূপ পেতে চলেছে স্বশাসিত কর্তৃপক্ষ— ব্যাঙ্কস বোর্ড ব্যুরো (বিবিবি)। যে কর্তৃপক্ষ গড়ার কথা এ বার বাজেট প্রস্তাবেই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা সচিব হাসমুখ আধিয়া জানিয়েছেন, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই ওই কর্তৃপক্ষ তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা। তবে তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটির (এসিসি) সবুজ সঙ্কেত পেতে হবে সেটিকে।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কগুলির ব্যাবসায়িক কৌশল ঢেলে সাজতে সংশ্লিষ্ট পরিচালন পর্ষদকে উৎসাহী করার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই সওয়াল করে আসছে অর্থ মন্ত্রক। এমনকী সব পক্ষের সুবিধা ও স্বার্থ বজায় রেখে বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে একসঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে বড় আয়তনের ব্যাঙ্ক তৈরির কথাও আজ বেশ কিছু দিন ধরেই বলে আসছে তারা। শেষমেশ তা বাস্তবায়িত করতেই এই বিবিবি গঠনের পরিকল্পনা বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এ দেশে সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা মোট ২২টি। সরকারি সূত্রের খবর, বিবিবি-র ছয় সদস্যের পর্ষদ গঠিত হবে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। যার নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা দফতরের সচিব।
আধিয়া জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির প্রধান পদের পাশাপাশি পর্ষদে নন-এগ্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও নন-অফিসিয়াল ডিরেক্টর পদে নিয়োগের দায়িত্বও বর্তাবে বিবিবি-র উপর। পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলিকে পরিস্থিতি নির্বিশেষে নানা ধরনের কৌশল বাতলানো, তহবিল জোগাড়ের পরিকল্পনা করা, এমনকী প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা শাখার সংযুক্তির বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ করার জন্য আলাপ-আলোচনা চালানোও তাদের কাজের আওতায় পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy