বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে রাজ্যকে নিয়ে সংশয়ই এখন নতুন বিনিয়োগের পুঁজি। শুনতে অদ্ভুত হলেও সত্যি। নতুন এই ব্যবসার টানেই এ রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতি জোরালো করতে ঝাঁপাচ্ছে বিশ্বের প্রথম চারটি উপদেষ্টা সংস্থার অন্যতম কেপিএমজি।
পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ টানতে দিল্লি, মুম্বই গিয়ে শিল্প সম্মেলন করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের লগ্নি-বান্ধব মুখ তুলে ধরতে তৈরি হয়েছে শিল্পনীতি। প্রাথমিক ভাবে সাড়াও দিয়েছে শিল্পমহল। সেই আগ্রহকে বিনিয়োগে পরিণত করার পথ মসৃণ করতে দক্ষতাই পুঁজি কেপিএমজির।
ব্যবসায়িক কৌশল থেকে শুরু করে বাজার যাচাই, বিভিন্ন প্রশাসনিক ধাপ টপকে যাওয়া ব্যবসা চালু করতে এ ধরনের বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চায় কেপিএমজি। সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিন্ রাজ্যে ব্যবসা করতে আসা নতুন লগ্নিকারীর পক্ষে অচেনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রকল্প তৈরি করা সহজ নয়। সময়সাপেক্ষও বটে। সেই কাজটা বিশেষজ্ঞ সংস্থা হিসেবে করে দেবে কেপিএমজি। এক কথায় ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং বলতে যা বোঝায়।
এই যুক্তিতেই ঢেলে সাজছে কলকাতার কেপিএমজি কেন্দ্র। আগামী দু’বছরে এই শহরে কর্মী সংখ্যা এক লাফে পাঁচ গুণ বাড়াতে চায় তারা। এবং শুধুই পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ পূর্বাঞ্চলের বাকি রাজ্যগুলিতেও করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। ভারতে কেপিএমজি-র অন্যতম কর্তা অম্বরীশ দাশগুপ্ত বলেন, “একটা পর্যায় পর্যন্ত রাজ্য লগ্নিকারীদের হাত ধরে এগিয়ে দিতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে আরও অনেক কাজ থাকে। সেই কাজের দিকে নজর রেখেই কলকাতা কেন্দ্র সম্প্রসারিত হচ্ছে।” শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ছোট ও মাঝারি শিল্পে এ ধরনের কাজের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
বিনিয়োগকারী ও রাজ্যের মধ্যে সেতু বন্ধনের পাশাপাশি খনিজ ও খনন শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলে নজর দিতে আগ্রহী ২৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করা সংস্থা কেপিএমজি। খনিজ ও খনন শিল্পে সংস্থার ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য কলকাতা দফতরই হবে ভারতের প্রধান কেন্দ্র। এ সমস্ত ক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক কৌশল, সরবরাহ ব্যবস্থা, ব্যবসায় ঝুঁকির হিসেব-নিকেশ, নতুন সংস্থা অধিগ্রহণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেবে সংস্থা। আর এ ধরনের কাজের হাত ধরেই হার্ভার্ড ও লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স-এর ছাত্রছাত্রীরা শিকড়ে ফিরতে পারবেন বলে দাবি অম্বরীশবাবুর। সেই মেধা-সম্পদের জন্য যে-ধরনের উচ্চ মানের কাজ প্রয়োজন, তা জোগান দেবে তাঁর সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy