খাস কলকাতায় কলেজে হাঙ্গামার ঢেউ থামছেই না। বৃহস্পতিবার শ্যামাপ্রসাদ কলেজে অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা ছুড়ে ফেলা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক দল ছাত্রের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এক দল বহিরাগতও জড়িত বলে অভিযোগ।
কলেজ সূত্রের খবর, ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের জেরেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলির একটি এমন আচরণের কথা সরাসরি অস্বীকার করেছে। অন্য সংগঠনের দাবি, তাদের কেউ ওই হাঙ্গামায় জড়িত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলেজ-কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে কয়েক জন হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হলেও অভিযোগপত্রে নির্দিষ্ট করে কোনও ছাত্র সংগঠনের নাম দেওয়া হয়নি। রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও গ্রেফতারেরও খবর নেই।
ঠিক কী ঘটেছিল?
এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি পার্ট টু জেনারেল তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার পরে উত্তরপত্র রাখা ছিল অধ্যক্ষের ঘরে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দীপ জানা জানান, সন্ধ্যায় তিনি সহকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। তখনই এক দল ছাত্র তাঁর ঘরে ঢোকে। সেই দলে কয়েক জন বহিরাগতও ছিল। হুড়মুড় করে ঘরের ভিতরে ঢুকে এসে ওই ছেলেরা চিৎকার শুরু করে দেয়। জয়দীপবাবু বলেন, “সেই সময় কলেজের ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরাও (সংসদ টিএমসিপি-র দখলে) সেখানে চলে আসেন। দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত।” তার পরেই তাঁর ঘরে রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা ছোড়াছুড়ি শুরু হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। সেই সঙ্গে ঘরে ভাঙচুরও চালানো হয়।
ওই হাঙ্গামার জেরে কোনও খাতা নষ্ট হয়েছে বা খোয়া গিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তাঁর কথায়, “খাতা নষ্ট হলে বা খোয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হবে।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ রাতে জানান, তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
হাঙ্গামায় ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ওই সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৌস্তুভ বাগচী। তিনি বলেন, “আমাদের সমর্থকেরা সাধারণ পড়ুয়াদের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। টিএমসিপি-র আশ্রিত গুন্ডারা সেখানে গিয়ে হামলা চালায়।” টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা জানান, ওই ঘটনার কথা তাঁর কানে পৌঁছয়নি। তবে এই ধরনের আচরণে তাঁদের সংগঠনের সমর্থকেরা জড়িত থাকলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy