একবালপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে আরও দু’জনের খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবারই এই ঘটনায় শেখ ওয়াহিদ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করেই এই দু’জনের সম্পর্কে জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সিকন্দর দোকানের মেঝে খোঁড়ার সময়ে স্থানীয় যুবক ওয়াহিদ তা দেখে। প্রথমে চৌবাচ্চা বানানোর কথা বললেও পরে খুনের কথা ওয়াহিদকে জানায় সিকন্দর। খুনের কথা চেপে যেতে টাকাও নেয় ওয়াহিদ। বৃহস্পতিবার ওয়াহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশের হোমিসাইড শাখা।
লালবাজার সূত্রে খবর, জেরায় ওয়াহিদ জানিয়েছে, স্থানীয় আরও দুই যুবক ঘটনার কথা জানত। তারাও খুনের কথা চেপে যাওয়ার জন্য টাকা নিয়েছে। পুলিশের এক কর্তার দাবি, ওয়াহিদ ও তার দুই সঙ্গী দেহ পুঁতে দেওয়ার পরে সিকন্দরের দোকানের মেঝে কংক্রিট করার সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে।
একই সঙ্গে লালবাজারে ঘোরাফেরা করছে একবালপুর থানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রসঙ্গও। দেহ উদ্ধারের দু’দিন পরেই ডিসি (বন্দর) ভি সলোমন নিশাকুমারের কাছে একবালপুর থানার একাংশ এবং ওসির বিরুদ্ধে গাফিলতি ও দুর্ব্যবহারের লিখিত অভিযোগ করেছিল নিহতের পরিবার। শুক্রবার এক পুলিশকর্তা জানান, “প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ বার তা তদন্তের জন্য লালবাজারে পাঠিয়েছে বন্দর বিভাগ।” এ দিন দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে এলাকায় মৌন মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy