বর্ষায় নয়। শীতেও এমন দশা। ছবি:অরুণ লোধ।
বর্ষা শেষ হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে। জমিয়ে শীত পড়ছে। তবুও রাস্তা জুড়ে জল! দক্ষিণের মাঝেরহাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে হেলেন কেলার সরণিতে নেমে তাই বিস্মিত হন পথচারীরা।
প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে কয়েক পা এগিয়ে দোকান থেকে ফল কিনছিলেন উমাশঙ্কর মিত্র। পাশ দিয়ে যাওয়া গাড়ির ঝাপটায় কাদা-জল মেখে স্তম্ভিত উমাশঙ্করবাবু। বিক্রেতা তখন মুচকি হেসে জানালেন, এটাই গত তিন মাস ধরে চেনা ছবি। একই দাবি নিত্যযাত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। কোথাও কোথাও গর্ত বেশ গভীর। কখনও তাড়াহুড়োর সময়ে সামান্য অসাবধান হয়ে ভূক্তভোগী হচ্ছেন পথচারীরা। কর্মসূত্রে মাঝেরহাট স্টেশন দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন শঙ্করী ঘোষ। তিনি বলেন, “এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে লরি, রিকশা, ট্যাক্সি, প্রাইভেট গাড়ি অনবরত যাতায়াত করছে। সেই সঙ্গে স্টেশন থেকে নেমে আসা যাত্রীর ভিড়। সব মিলে অফিসটাইমে খুব খারাপ অবস্থা হয়। ”
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, রাস্তাটি এত খারাপ অবস্থায় ছিল না। সাত-আট মাস ধরে এমন দশা। কোনও কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল। কাজ শেষ হলেও পিচ হয়নি। বৃষ্টি নেই। তবু প্রায় তিন মাস ধরে সবসময়েই ভিজে থাকে রাস্তার অনেক জায়গা। রাস্তার কাছেই ট্রান্সপোর্ট ডিপো রোডে ক্রমাগত লরি যাওয়া আসা করে। ফলে দিনে দিনে আরও বেহাল হচ্ছে। হেলেন কেলার সরণির এক দিক মিশেছে ডায়মন্ড হারবার রোডে। অন্য দিক, পড়েছে গড়াগাছা রোডে। মাঝেরহাট স্টেশন থেকে বেরনোর ওই একটি রাস্তা দিয়েই প্রতি দিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। এ দিক, থেকে যেমন ডায়মন্ড হারবার রোড হয়ে চিড়িয়াখানা, মোমিনপুরের দিকে যাওয়া যায়। তেমনই গঙ্গাসাগরের দিকেও চলে যাওয়া যায়। কাছেই রয়েছে টাঁকশাল।
কর্মসূত্রে রাণাঘাট থেকে আসা এক নিত্যযাত্রী জানান, সম্প্রতি মাঝেরহাট স্টেশনকে হকারমুক্ত করে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে রেল বিশেষ পদক্ষেপ করেছে। প্ল্যাটফর্ম থেকে নামার পরেই এই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও কর্তৃপক্ষের সচেতন হওয়া উচিত।
কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই রাস্তা।
যদিও হেলেন কেলার সরণির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার নয়, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। এ দিকে কলকাতা বন্দর সূত্রে খবর, হেলেন কেলার সরণির উন্নয়ন এবং রাস্তার নর্দমার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে প্রায় এক মাস। এখন রেললাইনের ধার ধরে কাজ চলছে। ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে মাঝেরহাট ব্রিজের নীচ পর্যন্ত এই রাস্তার কাজ হবে। এর জন্য প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও পাঁচ মাস লাগবে। তাই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মানুষকে কষ্ট করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy