বেদখল ফুটপাথ। ছবি: শৌভিক দে।
নাগেরবাজার উড়ালপুলের তলায় সৌন্দর্যায়নের কথা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় তৈরি হয়েছে গ্যারাজ, অটো ও অন্যান্য ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড। চলছে জঞ্জাল ফেলাও। ব্যবসায়ীরা ফুটপাথেই নিজেদের জিনিসপত্র রাখতে শুরু করেছেন। অভিযোগ, বাধ্য হয়ে পথচারীদের রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানান, নাগেরবাজার উড়ালপুল হওয়ার পরে তাঁরা ভেবেছিলেন সহজে রাস্তা ও ফুটপাথ দিয়ে চলাচল করা যাবে। কিন্তু অভিযোগ, সমস্যা তো দূর হয়নি, উল্টে বেড়েছে। নাগেরবাজার মোড় থেকে যশোহর রোড বরাবর লেকটাউনের দিকে যেতে গেলে দেখা যায় দোকান ফুটপাথে উঠে এসেছে। ফুটপাথের উপরেই খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবল রেখে বেচাকেনা চলছে। কোথাও কাঠের আসবাবে বার্নিস করার কাজ চলছে। ফলে পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ফুটপাথ দিয়ে কম লোক যাতায়াত করেন। শুধু দুপুরের দিকেই তাঁরা ফুটপাথে কিছু আসবাব রাখেন। পরে সরিয়েও ফেলা হয়। যদিও এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্যস্ত সময়েও ফুটপাথে আসবাব রাখা থাকে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, উড়ালপুলের নীচে দোকান, গ্যারাজ তৈরি হওয়ায় রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়েছে। তার উপরে ফুটপাথ জুড়ে আসবাব। এটি অত্যন্ত ব্যস্ত রাস্তা। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। দিন কয়েক আগে এক যুবকের পায়ের উপর দিয়ে অটোর চাকা চলে যায়।
বাসিন্দা অরূপ রায় বলেন, ‘‘উড়ালপুল দিয়ে খুব কম গাড়িই যায়। রাস্তায়ই গাড়ির ভিড় বেশি। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেশি।’’
উড়ালপুলের নীচে সৌন্দর্যায়নের কথা ছিল। কয়েকটি জায়গায় গাছের চারাও পোঁতা হয়েছিল। গ্যারাজ ছাড়াও রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ। কোথাও ইট, বালি রাখা। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন অঞ্জনা রক্ষিত বলেন, ‘‘সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছিল নাগেরবাজার মোড়ের কাছে। কয়েকটি জায়গায় গাছ লাগানোও হয়েছে। কিন্তু পুরো কাজ শেষ হয়নি। লোকসভার ভোটের পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তবে লোকসভা ভোটের পরেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার নির্বাচন। ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy