ফারপো মার্কেটের সামনে দমকলকর্মীরা। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র
ভরদুপুর, সবে ভিড় বাড়ছে নিউ মার্কেট এলাকায়। হঠাৎই ‘আগুন’, ‘আগুন’ বলে চিৎকার জুড়লেন কয়েক জন। চমকে উঠে পথচারীরা দেখলেন, একটি দোকান থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। হুড়োহুড়ি পড়ে গেল এলাকায়। আশপাশের দোকান খালি হল সঙ্গে সঙ্গেই। তড়িঘড়ি পসরা গুটিয়ে নিলেন ফুটপাথের দোকানিরাও।
দমকল সূত্রে খবর, বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ ধর্মতলার ফারপো মার্কেটের একটি ব্যাগের দোকানে আগুন লাগে। তিনটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। প্রাথমিক তদন্তে দমকল জানিয়েছে, দোকানে ফল্স সিলিং তৈরি করে মালপত্র জমা করা ছিল, কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট হয়ে সেখানেই আগুন লাগে।
এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, দোকান থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ফল্স সিলিং ভেঙে আগুন নেভাতে চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। সামনে ভিড় করে পথচারী ও দোকানিরা। তাঁদেরই এক জন বললেন, বছর বারো আগে এই মার্কেটেই আগুন লেগেছিল। তখন বহু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। “এ বার যদি রাতে আগুন লাগত, তা হলে একই ঘটনা ঘটতে পারত।” এক প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, আগুন লাগার সময়ে দোকানে কয়েক জন ক্রেতা ছিলেন। ধোঁয়া বেরোতেই তাঁরা হুড়মুড়িয়ে বাইরে চলে আসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আর ঘণ্টা কয়েক পরে আগুন লাগলেও বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারত। লালবাজার সূত্রের খবর, উৎসবের মরসুম চলে আসায় রোজই দুপুর থেকে ভিড় জমছে নিউ মার্কেট ও সংলগ্ন এলাকায়। বিকেলে ভিড়ের চোটে চলাফেরাই দায় হয়ে যায়। তাই বিকেলে আগুন লাগলে বহু মানুষ আহত হতে পারতেন।
অন্য দিকে, এ দিন সকালেই বাইপাসের বেলেঘাটার কাছে একটি গাড়ির ইঞ্জিনে আগুন লাগে। পুলিশ জানায়, দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হতাহতের খবর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy