হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরে রহস্যজনক ভাবে মৃত এক যুবককে ‘বেওয়ারিশ লাশ’ হিসেবে পুড়িয়ে দেওয়া হল। কিন্তু মৃতের পরিবারকে সে কথা প্রায় দেড় মাস পরে জানাল পুলিশ। তার পরেই মঙ্গলবার মৃতের পরিবারের লোক হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান।
পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্য হাওড়ার সদর বক্সি লেনের বাসিন্দা পিন্টু মণ্ডল (৩৬) গত ২৮ মে পেট-ব্যথা নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। পেশায় কারখানার কর্মী ওই যুবক ৩০ মে রাতে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরের দিন সকালে হাসপাতালের কাছেই বঙ্কিম সেতু থেকে নামার সময় জেলাশাসকের বাংলোর আগে একটি দেওয়ালে পেরেক থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তখনও মৃত যুবকের কোনও পরিচয় জানতে না পারায় ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ হিসেবে মৃতদেহটি হাওড়া পুলিশ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, সাত দিনের মধ্যে মৃতদেহটির কোনও দাবিদার না মেলায় নিয়ম মতো সেটি পুড়িয়ে ফেলা হয়।
পিন্টুর স্ত্রী রানি মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরে যে দিন তিনি তাঁর স্বামীর ছবি-সহ হাওড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন, সে দিন সকালেই তাঁর স্বামীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে চালান করে দেয়। রানির কথায়, “আমি দিনের পর দিন হাসপাতাল ও পুলিশের কাছে ছোটাছুটি করেছি। পুলিশ আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে।”
হাওড়ার ডিসি সদর নিশাত পারভেজ বলেন, “খতিয়ে দেখছি। ওই ঘটনায় কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস রায় বলেন, “রোগী নিখোঁজ হওয়ার পরেই পুলিশে একটা ডায়েরি করা হয়েছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy