অস্থায়ী পুরকর্মীদের বেতন হচ্ছে না এই অভিযোগে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্বাচন হবে বলে জুলাইয়ে বাম পরিচালিত পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়। তার পর থেকে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে বারাসতের মহকুমা শাসকের হাতে। অস্থায়ী কর্মী ও ঠিকা শ্রমিকদের অভিযোগ, বোর্ড ভাঙার পর থেকে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। বেতনের দাবিতেই এ দিন পুরসভার সামনে মঞ্চ বেঁধে সভা করছিলেন কর্মীরা। মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথাও ছিল। অভিযোগ, সভা চলাকালীন তৃণমূলের কিছু সমর্থক এসে ভাঙচুর চালায়। দু’পক্ষে সংঘর্ষে সামান্য জখম হন কয়েক জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অল্পবিস্তর আহত হয় বাগুইআটি থানার পুলিশও। তবে ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তৃণমূলের অভিযোগ, পুর-তহবিল শূন্য করে দিয়েছে সিপিএম। তাদের দাবি, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভায় ১৬২৫ জন ঠিকা শ্রমিক থাকা সত্ত্বেও বামেরা বেআইনি ভাবে আরও ৯০০ জনকে নিয়োগ করে। অভিযোগ অস্বীকার করে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিপিএমের তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নিয়ম মেনেই কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। অনিয়মের অভিযোগ থাকলে ওঁরা আলোচনা করতে পারতেন। তহবিল শূন্য করে দেওয়ার অভিযোগও ঠিক নয়।”
কর্মীদের অভিযোগ, ভোটের জন্য মধ্যমগ্রাম, দমদম, দক্ষিণ দমদম পুরসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে যেহেতু তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড ছিল তাই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে। এর জবাবে বারাসতের মহকুমা শাসক পীযূষকান্তি দাস বলেন, “অন্য পুরসভাগুলিতে এত সংখ্যক অস্থায়ী কর্মী ছিলেন না। পুরবোর্ড শূন্য করে বাড়তি কর্মী রেখে গেলে বেতন দেওয়ার এত টাকা মিলবে কোথা থেকে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy