বিটি রোডের উপরে চিড়িয়ামোড় থেকে কাশীপুরে ঢুকলে কোনও বাস মেলে না। কাশীপুরে ঢুকতে হলে রিকশা বা অটোর জন্য দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এই অঞ্চলে রতনবাবু শ্মশান ঘাট ও কাশীপুর উদ্যানবাটী থাকায় অসংখ্য মানুষের আনাগোনা হয়। এ ছাড়া রয়েছে নিত্যযাত্রীদের চাপ। তুলনায় যান অপ্রতুল বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
বাসিন্দারা জানান, কাশীপুরের এই অঞ্চল থেকে চিড়িয়ামোড় বা আহিরীটোলার অটো পেতে আধ ঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হয়। রিকশাও কম মেলে। ভাড়া বেশি। এখানে একটি বেসরকারি রুটের বাস খুবই অনিয়মিত ভাবে চলে। দীর্ঘ দিন ধরে বাসিন্দারা দাবি জানিয়ে আসছেন আরও বেশি বাস চালিয়ে হাওড়া, শিয়ালদহের সঙ্গে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হোক। জোয়ার-ভাটা এবং অন্যান্য কারণে লঞ্চ চলাচল বেশির ভাগ সময়েই বন্ধ থাকে। যদিও সপ্তাহখানেক হল ধর্মতলা পর্যন্ত একটি বেসরকারি রুটের বাস চালু হয়েছে। কিন্তু এতেও সমস্যা কমবে না বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
যোগাযোগের নির্দিষ্ট মাধ্যম না থাকায় কলকাতা পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাকালতলা এবং ৫৮ নম্বরের উঁচুপোতা, খানাবেড়িয়া, ধাপা-দূর্গাপুর, বোঁইচতলা, অনন্তবাদল, সাহেবাবাদ, আরুপোতার বাসিন্দারা নিত্য দুর্ভোগের শিকার হন। ধাপার মাঠে ময়লা ফেলতে আসা গাড়ি, ট্রাক অথবা সব্জিভ্যানের ভরসায় তাঁদের মাঠপুকুর থেকে কয়লা ডিপো পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পথ যেতে হয়। এখানে প্রায় দশ-বারো হাজার মানুষের বাস। তাঁদের দাবি, মাঠপুকুর, শিয়ালদহ, বিধাননগর, সায়েন্স সিটির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মাঠপুকুর থেকে বাসন্তী হাইওয়ে পর্যন্ত বাস চালুর। সেই সঙ্গে কয়লা ডিপোতেও বাসস্টপ হোক।
রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে অনেকগুলি নতুন রুট চালু হবে। ৮০০টির বেশি বাস নামবে। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “উদ্যানবাটীর সামনে থেকে আরও বাস চালু করার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ধাপা এলাকার নাগরিক প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সব দিক বিবেচনা করে ডিসেম্বরের মধ্যে ওখানেও নতুন বাস রুট শুরু করা যায় কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy