সন্তোষকুমার রাম
এলাকায় ছাগল চুরি দিয়ে হাত পাকানো শুরু। তাই পরিচিতি ‘ছাগল চোর’ নামেই। এ বার তারই নাম জড়িয়ে গেল ময়দার বস্তা-বোঝাই দশ চাকার ট্রাক চুরিতে।
ময়দা বোঝাই ট্রাক চুরির মামলায় সন্তোষকুমার রাম নামে ওই ব্যক্তিকে বুধবার ভোরে হাইড রোড থেকে গ্রেফতার করে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। এ দিনই আদালতে তার পুলিশি হেফাজত হয়। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া মালের বেশির ভাগটাই।
পুলিশ জানায়, ২৬ জুন সন্ধ্যায় হাইড রোডের পাশে ৯৫৮টি ময়দার বস্তা-বোঝাই ট্রাকটি রেখেছিলেন চালক সতীশ পাঠক। রাত ১০টা নাগাদ খেতে গিয়ে ফিরে দেখেন ট্রাক উধাও! রাতেই থানায় অভিযোগও করেন। গত শনিবার খিদিরপুর ডক এলাকা থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করে পুলিশ। তখন দুষ্কৃতীদের খোঁজ মেলেনি।
এ দিকে, গত সপ্তাহে ওই থানা এলাকারই অন্য একটি চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয় সন্তোষ। পুলিশের দাবি, তখনও জানা ছিল না সে-ই ময়দা চুরির মূল অভিযুক্ত। সন্তোষকে জেরায় ট্রাক চুরির কিছু তথ্য মেলে। কিন্তু যে ঘটনায় সে গ্রেফতার হয়, তাতে সোমবার জামিন পায় সে। গোয়েন্দাদের দাবি, এর পরেই একটি সূত্রে জানা যায়, ব্যারাকপুরে ঘুর পথে ময়দা বিক্রির চেষ্টা করছে সন্তোষ। মঙ্গলবার ক্রেতা সেজে যোগাযোগের পরে বুধবার তাকে ধরা হয়।
পুলিশ জানায়, সন্তোষের কথা মতো টিটাগড়ের একটি গুদাম থেকে ৫১০টি ময়দার বস্তা মেলে। পুলিশের দাবি, নকল চাবি দিয়ে ট্রাকের দরজা খুলেছিল সন্তোষ। স্থানীয় কিছু যুবককে নিয়ে বন্দর এলাকায় পার্কিংয়ে থাকা ট্রাক চুরির ছক ছিল বলেও জানায় সে।
কিন্তু প্রথমে ধরা পড়লেও ময়দা চুরিতে সন্তোষের যুক্ত থাকার কথা কেন জানতে পারল না পুলিশ? লালবাজারের দাবি, সন্তোষ ছিঁচকে চোর। দল তৈরি করে যে সে ময়দা বোঝাই আস্ত ট্রাক চুরি করবে, তা বোঝা যায়নি। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, প্রথমে ধরা পড়ে ট্রাক চুরি থেকে নিজেকে বাঁচাতে কিছু তথ্য দেয় সন্তোষ। সেই সূত্রেই ঘটনায় তার যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy