ফাইল চিত্র।
ফের জয়পুরিয়া কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের ঘটনা ঘটল। কলেজ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ দিবা বিভাগের পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এক ছাত্রীকে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। এর পরে শুরু হয় হাতাহাতি। নিরাপত্তার জন্য কলেজের সামনেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারাই পড়ুয়াদের মধ্যে গোলমাল থামায়। তবে কলেজের একাংশের দাবি, এই গোলমালের ঘটনায় প্রাক্তন পড়ুয়াদের একাংশের মদত রয়েছে।
এই কলেজে প্রাক্তনদের গোষ্ঠীর সঙ্গে বর্তমান পড়ুয়াদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নতুন নয়। একাধিক বার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শিরোনামে এসেছে শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজ। অভিযোগ, এ দিন ফের সেই পুরনো ঘটনার রেশ ধরেই গোলমাল হয়। অভিযোগ, এ দিন প্রাক্তন-গোষ্ঠীর এক সমর্থক বর্তমান পড়ুয়া এক ছাত্রীকে কটূক্তি করেন। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। কলেজে প্রাক্তনদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার কারণেই ওই ছাত্রীকে ‘টিপ্পনি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। প্রথমে তা থামিয়ে দিলেও কলেজের ভিতরে ঢুকে ফের হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় চার জনকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) শুভঙ্কর সিংহসরকার। তবে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
কলেজ সূত্রে খবর, আগেও দু’পক্ষের গোলমালে কয়েক জন পড়ুয়ার মাথা ফেটে গিয়েছিল। কলেজের ভিতরে তাণ্ডব চালানো এবং রাতের অন্ধকারে এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগও উঠেছিল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। এর পরে ওই কলেজের টিএমসিপি’র ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ওই গোলমালে উত্তর কলকাতার দুই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বের প্রভাবের বিষয়টি সামনে আসায় পরিচালন সমিতি থেকে এক মন্ত্রীকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও যে গোলমালে রাশ টানা যায়নি ফের তা প্রমাণ হল। টিএমসিপি-র এক নেতা এ দিন বলেন, ‘‘ওটা ছাত্র সংসদের গোলমাল। কারণ ওখানে তো টিএমসিপি-র ইউনিটই নেই।’’ প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার বহিরাগত ও প্রাক্তন পড়ুয়াদের কলেজে ঢুকতে নিষেধ করেছিলেন। তার পরেও সেই ঘটনাই গোলমালের উৎস হওয়ায় বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে কি শিক্ষামন্ত্রীরও নিয়ন্ত্রণে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে এই কলেজ?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy